বাভারিয়ার দর্শনীয় স্থান
পর্যটকদের কাছে জার্মানির সবচেয়ে আকর্ষণীয় এলাকা বাভারিয়া৷ নয়শোয়ানস্টাইন দুর্গ, সুগস্পিৎসে চূড়া ও মিউনিখের দৃষ্টিনন্দন প্রাসাদ, পার্ক ও যাদুঘরের পাশাপাশি পল্লি এলাকার সৌন্দর্যও পর্যটকদের আকৃষ্ট করে৷
নয়নাভিরাম পল্লি
মিউনিখের দক্ষিণ থেকে অস্ট্রিয়ার সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত ট্যোলৎসার এলাকা বাভারিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রকৃত চিত্রই তুলে ধরে৷ একদিনের ভ্রমণের জন্য এটা দারুণ পছন্দ হতে পারে৷
এক পাহাড়, দুই লেক
বাভারিয়ান আল্পসের পাদদেশের পাহাড়গুলোর একটি হ্যারৎগস্টান্ড, উচ্চতা ৫ হাজার ৫৭৭ ফুট৷ এর দুই পাশের লেক চমৎকার এক দৃশ্যপট তৈরি করেছে৷ বাভারিয়ার রাজা দ্বিতীয় লুডভিশ-এর পছন্দের শীর্ষে ছিল এই পাহাড়৷ সে সময় কেবল কারের মাধ্যমে সহজেই এই পাহাড়ের চূড়ায় ওঠা যেত৷ গ্রীষ্মকালে সেখানে প্রচুর পর্যটক ভিড় জমাতেন৷
বাভারীয় ক্যারিবিয়ান
বাভারিয়ার সবচেয়ে সুন্দর ওয়াটার স্পোর্টস এলাকাগুলোর একটি ভালখেনসে লেক৷ এই হ্রদের গভীরতা রয়েছে ১৯০ মিটার পর্যন্ত৷ সবুজাভ-নীল রঙের পানি ও সাদা বালুর সৈকত এই লেককে বাভারীয় ক্যারিবিয়ান নামে পরিচিত করে তুলেছে৷ শান্ত এই লেকে মটর চালিত নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ৷
ওয়াটার স্পোর্টস হটস্পট
ডাইভ, সার্ফিং ও ঘুড়ি ওড়ানোরও একটি উৎকৃষ্ট স্পট ভালখেনসে লেক৷ গ্রীষ্মের কোনো দিন লেকের পাশ দিয়ে গেলে প্রবেশ মুখে সারি বেঁধে সার্ফারদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাবে৷ পাহাড়ের কোল ঘেঁষে থাকা এই লেকের তাপমাত্রাও থাকে মৃদু৷
পাহাড়ের উপর বাঁক
ভালখেনসে থেকে কখেলসে লেকে যেতে চাইলে আপনাকে কেসেলব্যার্গে পাহাড়ের উপরের পথ ধরতে হবে৷ এই পথে ৯ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে সরু বাঁক রয়েছে৷ মটরসাইকেল চালকরা এই ট্র্যাক খুব পছন্দ করেন৷ তবে অনেকগুলো দুর্ঘটনার পর সপ্তাহান্তগুলোতে সেখানে মটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়৷
প্রকৃতির রূপ
ভালখেনসে লেকের ২০০ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত কখেলসে লেকের সঙ্গে রয়েছে বিস্তৃত জলাভূমি৷ প্রকৃতি ও আর্টের নিবিড় সমন্বয় ঘটেছে এখানে৷ বিশ শতকের শুরুর দিকে এই লেকই ছিল এক্সপ্রেশনিস্ট আর্টিস্টদের মিলিত হওয়ার জায়গা৷ ফ্রানৎস মার্ক জাদুঘরও এখানকার একটি আকর্ষণীয় জায়গা৷ বিখ্যাত সব চিত্রশিল্পী ও তাদের সমসাময়িক শিল্পীদের ছবি রয়েছে এখানে৷
গ্রীষ্মের মুয়রনাউ
গ্রীষ্মকালে ফ্রানৎস মার্ক ও তার বন্ধু চিত্রশিল্পীরা চলে যেতেন পাশের মুয়রনাউ শহরে৷ সেখানে ভাসিলি কান্ডিনস্কি এবং তার পার্টনার গাব্রিয়েলে ম্যুন্টারের বাসায় মিলিত হতেন এই তরুণ এক্সপ্রেশনিস্ট শিল্পীরা৷ সেই বাড়িটিকে এখন যাদুঘর করা হয়েছে৷