1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনের পরিত্যক্ত ভবনে আর্কিটেকচার ফার্মের কার্যালয়

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

জার্মানির রাজধানী বার্লিনের এক আর্কিটেকচার ফার্ম তাদের কার্যালয় হিসেবে পুরনো একটি সাইলো বেছে নিয়েছেন৷ ঐ ফার্মে কাজ করা স্থপতিদের কাছে বাইরের সৌন্দর্য বিবেচ্য বিষয় নয়৷

https://p.dw.com/p/4NbwK
Venedig Architektur Biennale 2021 l Arno Brandlhuber und Olaf Grawert
ছবি: bureau-n/dpa/picture alliance

৪৩ মিটার দীর্ঘ কংক্রিটের তৈরি সাবেক এই সাইলো বর্তমানে বার্লিনের একটি স্থাপত্য কোম্পানির কার্যালয়৷ বাইরে থেকে দেখতে আকর্ষণীয় মনে না হলেও বিপ্লাস কোম্পানির স্থপতিদের কাছে এটি আবেগের বিষয়৷

স্থপতি আর্নো ব্রান্ডলহুবার বলেন, ‘‘দেখতে কুৎসিত জিনিসও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে, যদি সেটাকে ভালো কাজে লাগানো যায়৷''

বার্লিনের লিশটেনব্যার্গ এলাকায় ২০১২ সালে হঠাৎ করেই ঐ সাইলোর সন্ধান পান তারা৷ সাবেক পূর্ব জার্মানির রাষ্ট্রীয় ‘ভিইবি ইলেক্ট্রোকোলে' কোম্পানি এটি ব্যবহার করতো৷

এমন ভবন দেখার পর বেশিরভাগ মানুষ হয়ত তা ভেঙে ফেলতে চাইতেন৷ কিন্তু এটি আর্নো ব্রান্ডলহুবারকে ইটালির অন্যতম সুন্দর স্থাপত্য টাস্কানি অঞ্চলের সান জিমিনিয়ানোর টোরে গ্রোসা টাওয়ারের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে৷ প্রকল্পের নামও এসেছে সেখান থেকে: সান জিমিনিয়ানো লিশটেনব্যার্গ৷

ব্রান্ডলহুবার বলেন, ‘‘এখানকার টাওয়ার দুটি এত সরু ও লম্বা যে টাস্কানির সান জিমিনিয়ানোর কথা মনে করিয়ে দেয়৷ এখানকার মতো শিল্পাঞ্চলে টাস্কানির ভাব আনা গেলে তা মনের উপর অবশ্যই প্রভাব ফেলে৷ পরিত্যক্ত ভবন নিয়ে কাজ করার এটি একটি অন্যতম উদ্দেশ্য, কারণ এমন ভবন সম্পর্কে সাধারণত নেতিবাচক ধারণা পোষণ করা হয়৷''

জার্মানির রাজধানীতে পরিত্যক্ত ভবনে অফিস

শহরের কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে হওয়ায় শুরুতে এই প্রকল্প নিয়ে অনেকে সন্দেহ পোষণ করেছিলেন৷ কিন্তু স্থপতিরা বিনিয়োগকারীদের বোঝাতে সক্ষম হন৷ ফলে পরিত্যক্ত শিল্পাঞ্চলে প্রাণ ফিরে এসেছে৷

প্রায় দশ বছর ধরে সংস্কার কাজ চলেছে৷ খরচ হয়েছে প্রায় নয় কোটি টাকা৷ পুরনো ভবনটি মোটামুটি একইরকম রাখা হয়েছে৷

সাইলোর নিচতলায় একটি ওয়ার্কশপ চালু করা হয়েছে যেখানে নতুন মডেল ও প্রোটোটাইপ নিয়ে কাজ করা হয়৷ ধূসর, কৌণিক আর কংক্রিট কাঠামো- এগুলো ঐ আর্কিটেকচার ফার্মের কাজের বৈশিষ্ট্য৷

ব্রান্ডলহুবার বলেন, ‘‘সৌন্দর্যকে অনেকভাবে দেখা যায়৷ এর মধ্য একটি, বাইরের সৌন্দর্য৷ কিন্তু আমাদের কাছে বিষয়টা সেরকম নয়৷ আমাদের যারা গ্রাহক কিংবা আমরা যেসব প্রকল্পে কাজ করি সেখানে বাইরের সৌন্দর্য বিবেচনায় থাকে না৷ যদি কেউ এমন স্থপতি চান, যারা রং আর উজ্জ্বল বহিরাবরণে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, তাহলে তারা অন্যদের কাছে গেলে ভালো করবেন৷'' 

ভালো হয় যদি তাদের গ্রাহকরা শারীরিকভাবেও ফিট হয়ে থাকেন৷ কারণ ভবনে কোনো লিফট নেই৷ ওঠানামা করতে প্রতিদিন ১৯৯টি সিঁড়ি ভাঙতে হয়৷

ব্রান্ডলহুবার জানান, ‘‘অনেকে কাজ শেষে জিমে গিয়ে কার্ডিও মেশিনে সিঁড়িতে ওঠানামার মতো অনুশীলন করেন৷ কিন্তু আমরা দেখেছি, আমাদের তার প্রয়োজন নেই৷ কারণ অফিসে ওঠানামা করতে গিয়ে একদিনে যতটা পরিশ্রমের প্রয়োজন, সেটা হয়ে যায়৷''

পুরনো ভবনকে নতুন রূপ দেয়া: একটি জরাজীর্ণ সাইলো টাওয়ারকে রোমাঞ্চকর কিছুতে পরিণত করে একটি পরিত্যক্ত শিল্পাঞ্চলে কীভাবে প্রাণ ফিরিয়ে আনা যায়, সান জিমিনিয়ানো লিশটেনব্যার্গ প্রজেক্ট তার উদাহরণ৷

ক্রিস্টিন লেবার্ট/জেডএইচ