বিক্ষোভের শিকার কয়েকটি জনপ্রিয় ভাস্কর্য
দাবি আদায়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর চালিয়ে থাকেন৷ অনেকসময় এসব আন্দোলনের ঝড় গিয়ে পড়ে শহরের আইকনিক ভাস্কর্যের উপর৷
আর্ক ডে ট্রিয়ফ
প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর জ্বালানি কর বাড়ানোর প্রস্তাবের প্রতিবাদে শনিবার প্যারিসে তান্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা৷ এই সময় প্রায় ২০০ গাড়িতে আগুন লাগানো হয়৷ হামলার হাত থেকে রক্ষা পায়নি প্যারিসের আইকনিক ‘আর্ক ডে ট্রিয়ফ’-ও৷ বাইরের দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা ছাড়াও ভেতরে কাচ ও নেপোলিয়নের মূর্তি ভাঙা হয়৷
দ্য লিটল মারমেইড
লেখক হান্স ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসেন-এর সম্মানে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন-এ এটি স্থাপন করা হয়৷ এখন পর্যন্ত দুবার এই মৎস্যকন্যার মাথা ভেঙে দেয় প্রতিবাদকারীরা৷ আর ছবিতে যে তাকে রক্তের মতো লাল রং মাখা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, সেটি কিন্তু তার আসল রং নয়! তিমি বাঁচাতে আন্দোলনকারী পরিবেশবাদীদের কাজ এটি৷
ডেভিড বোয়ির ভাস্কর্য
ব্রিটিশ সংগীত শিল্পী ও অভিনেতা ডেভিড বোয়ির সম্মানে গত মার্চে যুক্তরাজ্যে এই ভাস্কর্যটি উন্মোচন করা হয়৷ কিন্তু এর জন্য যা খরচ হয়েছে তা মেনে নিতে পারেননি অনেকে৷ তাই প্রতিবাদ হিসেবে ভাস্কর্যটির পায়ের কাছে তারা লিখে দিয়েছিলেন, ‘আগে গৃহহীনদের খাওয়াতে হবে’৷
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ
জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট-এর ভাস্কর্যটি রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদে অবস্থিত৷ শহরটি যখন পূর্ব প্রুশিয়ার অংশ ছিল তখন কান্ট সেখানে বাস করতেন৷ গতমাসে শহরের বিমানবন্দরের নাম জার্মান ঐ দার্শনিকের নামে করার প্রস্তাব উঠলে তার প্রতিবাদে ভাস্কর্যটির গায়ে এভাবে রং ছিটিয়ে দেয়া হয়৷
ইস্ট সাইড গ্যালারি
বার্লিনের হলোকস্ট মেমোরিয়ালের গায়ে প্রস্রাব করার দায়ে ২২ বছরের এক তরুণকে দেড় হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছিল৷ ইস্ট সাইড গ্যালারির (ছবি) মতো বার্লিনের ওপেন-এয়ার মিউজিয়ামের গায়েও অনেকেই মূত্র ত্যাগ করেন৷ আর গ্রাফিতি এঁকে দেয়া কিংবা কিছু অংশের ক্ষতি করার মতো অপরাধতো ঘটেই৷ তবে আশার কথা হচ্ছে, এসব ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছে৷