বিজেপি-র তারকা প্রার্থীদের ‘নগরের নটী’ বললেন তথাগত, বিতর্ক তুঙ্গে
বিজেপি-র নেতা তথাগত রায় দলের তারকা প্রার্থীদের ‘নগরের নটী’ বলেছেন। তা নিয়ে শুরু বিজেপি-তে ঘোর বিতর্ক।
কী বলেছেন তথাগত
বিজেপি-র এই সাবেক রাজ্যপাল বিতর্কিত কথা বলতে ভালোবাসেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, ‘‘পায়েল, শ্রাবন্তী, পার্নো ইত্যাদি ‘নগরের নটী’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রের সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাস-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি?’’
বিজেপি তারকাদের জবাব
প্রথমে মুখ খোলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘দলের ভোটের টাকায় কেলি করেছি, তেমন কোনো প্রমাণ তার কাছে আছে কি? রাজনীতিটা কেউ একদিনে শেখে না। উনিও শেখেননি।’’ তনুশ্রী চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘এমন উক্তির মধ্যে দিয়ে বিজেপির প্রবীণ নেতা দেশের সমস্ত নারীকে অপমান করলেন। অথচ, দল কিন্তু নারীশক্তিকে আলাদা সম্মান দেয়৷’’ ক্ষুব্ধ পার্নো মিত্রও৷ উপরের ছবিটি পার্নো মিত্রের৷
মদন মিত্রর জবাব
তথাগত রায়ের এই কটূক্তির জবাব দিয়েছেন মদন মিত্র। তিনি বলেছেন, পরের বার নৌকাবিহারে ওকেও সঙ্গে নেব।
চুপ বিজেপি-র নেতৃত্ব
বিজেপি-র শীর্ষ নেতারা এনিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তারা চুপ করে থাকাই শ্রেয় বলে মনে করেছেন। এমনকী কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, যারা এমনি সময়ে সব বিষয়ে কথা বলেন, তারাও চুপ। এদের ‘প্রভু’ বলে সম্বোধন করেছেন তথাগত। উপরের ছবিটি দিলীপ ঘোষের।
তারকাদের প্রতিবাদ
তবে তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরত, তৃণমূলের তারকা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক, অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রেরা তথাগত রায়ের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন। তাদের অভিযোগ, বিজেপি হলো নারীবিদ্বেষী।
বিজেপি-তে একঝাঁক তারকা
বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের টিভি ও সিনেমা জগতের একঝাঁক তারকাকে দলে নিয়ে আসে। প্রচুর তারকাকে প্রার্থী করে। তবে হিরণ চট্টোপাধ্যায় ছাড়া কেউ জেতেননি। পায়েল, শ্রাবন্তী, পার্নো ছাড়াও হেরেছেন রুদ্রনীল, যশ দাশগুপ্ত। হেরেছেন বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়রাও। উপরের ছবিতে টিভির তারকাদের বিজেপি-র সদস্যপদ দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ।
প্রচারে কটূক্তি
বিধানসভা প্রচারের সময়ই কটূক্তির বন্যা বয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু মন্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। আবার প্রধানমন্ত্রীর দিদি, দিদি বলে ডাক নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল নেতারা। এছাড়া তৃণমূল ও বিজেপি-র একাধিক নেতার বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে।