বিমান ভ্রমণে সিকিউরিটি চেক সহজ করার উপায়

অনলাইন চেকিংয়ের সুবিধা আছে কিনা তা আগেই জেনে নিন৷ থাকলে ভ্রমণের আগের দিনই অনলাইন চেকিং করে নিন৷ এতে বিমান বন্দরে লম্বা লাইনে অপেক্ষার করার সময় কিছুটা বাঁচবে৷

হ্যান্ড লাগেজ বা হাতে নেওয়ার ব্যাগের নির্ধারিত সাইজ রয়েছে৷ তাই সেই মাপ অনুযায়ী ব্যাগ কিনে নিন৷ ‘সস্তা’ এয়ারলাইন্সগুলোতে অনেক সময় শুধুমাত্র একটি ব্যাগ নেয়ার অনুমতি থাকে৷ বিমানের ভেতরে ক’টা ব্যাগ এবং কী সাইজের ব্যাগ নেয়া যায় তা আগে থেকে জেনে নিলে এয়ারপোর্টে বাড়তি জটিলতা এড়ানো সম্ভব৷

কোমরের বেল্ট, ঘড়ি, চুড়ি –স ব বডি চেকিংয়ের সময় প্রতিবারই খুলতে হয়, যা নিঃসন্দেহে বিরক্তিকর ও সময়সাপেক্ষ৷ তাছাড়া অনেক সময় পায়ের জুতোও খুলতে হয়৷ তাই ফিতা ছাড়া জুতো পরবেন, যাতে সহজে পা থেকে খোলা যায়৷

ইলেক্ট্রনিক জিনিসগুলো একসাথে হাতের কাছে গুছিয়ে রাখুন৷ নিয়মিত যেসব ওষুধ সেবন করতে হয় তারও একটি তালিকা তৈরি করে নিন৷ এর বাইরে ডাক্তারের দেয়া একটি চিঠিও ওষুধের সঙ্গে রাখুন, যেন প্রয়োজনে চট করে দেখাতে পারেন৷

বিমানে ওঠার আগে প্রথম লাইন অর্থাৎ ভিআইপি লাইনে দাড়ানোর সুবিধা সকলেই জানেন৷ আপনি ভিআইপি ‘না’ হলেও অনেকক্ষেত্রে কোনো কোনো এয়ারলাইন্সে সমান্য টাকার বিনিময়ে এই সুবিধা পাওয়া যেতে পারে৷ তাই আগে থেকে খোঁজ নিন৷

শিশু সাথে থাকলে প্রথমেই ফার্স্ট লাইনে দাঁডিয়ে যান৷ শিশু সাথে থাকলে সাধারণত অন্য যাত্রীরা তেমন কিছু বলেন না৷

কারণ, সিকিউরিটি চেকিংয়ে অনেক সময় তাঁরা সেগুলো অন করে দেখাতে বলেন৷ তখন অন না হলে সমস্যা হতে পারে৷ কাজেই বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগেই সেগুলো চার্জ দিয়ে নিন৷

যাঁরা নিয়মিত ভ্রমণ করেন, তাঁদের দেখেই চেকিংয়ের লোকজন বুঝতে পারেন এবং তাঁদের সাথে কিছটা হলেও অন্যরকম, অর্থাৎ একটু বেশি ভালো ব্যবহার করেন৷ কাজেই প্লেনে ভ্রমণের সময় একটু ঠিকঠাক মতো পোশাক পরে নিন, যাতে কিছুটা হলেও ‘বিজনেস লুক’ থাকে৷ চেহারায় এমন ভাব রাখুন, যেন আপনি নিয়মিতই ভ্রমণ করেন৷ এই তথ্যগুলো জানা গেছে জার্মান নারীদের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘বিল্ড ডেয়ার ফ্রাউ’ থেকে৷