বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান
ব্রিটিশ সাপ্তাহিক ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ প্রতিবছর বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচক বের করে৷ ছবিঘরে ২০২২ সালের সূচকের তথ্য থাকছে৷
বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচক
ব্রিটিশ সাপ্তাহিক ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ প্রতিবছর বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচক বের করে৷ ২০২২ সালের সূচকে ১১৩টি দেশের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে৷ চারটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সূচকটি তৈরি করা হয়৷ এগুলো হচ্ছে খাবার কেনার ক্ষমতা; খাবারের প্রাপ্যতা; মান ও নিরাপত্তা; এবং একটি দেশের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তা মোকাবিলা করা ক্ষমতা৷
বাংলাদেশের অবস্থান ৮০
বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচক ২০২২-এ ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮০৷ দক্ষিণ এশিয়ায় এই সূচকে সবার আগে আছে ভারত (৬৮)৷ তারপর নেপাল (৭৪), শ্রীলঙ্কা (৭৯) ও পাকিস্তান (৮৪)৷
খাদ্য নিরাপত্তা আইনে বাংলাদেশের অবস্থান
সূচকে চারটি বিবেচ্য বিষয়ের একটি খাদ্যের মান ও নিরাপত্তা৷ এই বিভাগে ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭১৷ একটি দেশে খাদ্য নিরাপত্তা আইন আছে কিনা, এবং সেটি গত ৫-১০ বছরে হালনাগাদ করা হয়েছে কিনা তারও স্কোর দিয়ে থাকে ইকোনমিস্ট৷ এতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের স্কোর ৫০, যা বৈশ্বিক গড়ের (৭০.৮) চেয়ে কম৷
ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের অবস্থান
বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচকের মান ও নিরাপত্তা বিভাগেও দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত এগিয়ে আছে (৬৭)৷ এরপরেই আছে বাংলাদেশ (৭১), তারপর নেপাল (৭২), শ্রীলঙ্কা (৮১) ও পাকিস্তান (৯৭)৷ এর মধ্যে পাকিস্তান কোনো খাদ্য নিরাপত্তা আইন নেই বলে জানিয়েছে দ্য ইকোনমিস্ট৷
বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা আইন
২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন পাস হয়৷ এরপর ২০১৫ সালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়৷ তবে পুরোদমে কাজ শুরু করে ২০২০ সালে৷
যেমন চলছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
জনবল সংখ্যা ১৫০ জনের মতো৷ উপজেলা তো দূরের কথা সব জেলায়ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অফিস নেই৷ সংস্থার সচিব আব্দুন নাসের খান বলেন, ‘‘শুধু হোটেল নয়, সবধরনের খাদ্যই আমরা দেখি৷ তবে জেলা পর্যায় পর্যন্ত আমরা যেতে পেরেছি৷ তাও জেলায় একজন কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহায়ক নিয়ে কাজ করতে হয়৷ আমরা অন্যান্য দপ্তরের সহায়তা নিই৷ সেটাও সবসময় পাওয়া যায় না৷’’