1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ব্রুটালিজম' কি এক স্থাপত্য শৈলী?

২৫ আগস্ট ২০২২

পরিষ্কার দাগ, কংক্রিটের ছড়াছড়ি এবং সাহসী উপস্থাপন- ব্রুটালিজম নামের এই নির্মাণ শৈলী সবার থেকে ভিন্ন৷ কারো কারো চোখে এই বিশালাকার ভবনগুলো নির্মম৷ আবার কেউ একে সাহসী কাজ বলেন এবং এগুলো সুরক্ষার দাবি করেন৷

https://p.dw.com/p/4G3xU
Bildergalerie Brutalismus in Jugoslawien
ছবি: Reuters/M. Djurica

সেভ ব্রিটেনস হেরিটেজের হেনরিয়েটা বিলিংস বলেন, ‘‘ব্রুটালিস্ট স্থাপত্য হলো উত্তেজনাকর, সাহসী ও উচ্চাকাঙ্খী প্রকল্প৷ বিশ শতকে খুব অল্প সময় জুড়েই এমন নির্মাণ দেখা যায়৷ কিন্তু ঐ অল্প সময়েই চমৎকার সব দুঃসাহসী কাজ করা হয়েছে৷'' 

সংরক্ষক হেনরিয়েটা বিলিংস ব্রুটালিজম নিয়ে তার ভালোলাগা নিয়ে বসে থাকেননি৷ তিনি লন্ডন এলাকায় এমন ৫০টি ভবনের ম্যাপ তৈরি করেছেন৷

তার পছন্দের তালিকার একটি ভবন রয়েছে পশ্চিম লন্ডনে- ৯৮ মিটার লম্বা ট্রেলিক টাওয়ার৷ এটা ব্রিটিশ-হাঙ্গেরিয়ান স্থপতি এর্নো গোল্ডফিঙ্গারের তৈরি একটি আবাসন প্রকল্প৷ ১৯৭২ সালে এর কাজ শেষ হয়৷ সে সময় এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে উঁচু আবাসিক ভবন এবং একে ডাকা হতো ‘টাওয়ার অফ টেরর' নামে৷ কারণ সে এলাকার অপরাধের মাত্রা বেশি ছিল৷

সংরক্ষক হেনরিয়েটা বিলিংসের ভাষায়, ‘‘ট্রেলিক টাওয়ার লন্ডনের একটি সত্যিকারের ল্যান্ডমার্ক৷ শুধু এর স্থাপত্যশৈলী বা সিলুইয়েট উপস্থাপনের জন্যই নয়, যে কোন পাশ থেকে একে আলাদা করা যায়৷ সে কারণেই হয়তো এর বেঁচাবিক্রি নিয়ে কখনো চিন্তা করতে হয়নি৷''

শহরের কেন্দ্রে রাজধানীর বিশালতম ব্রুটালিস্ট স্থাপত্যগুচ্ছটি লন্ডনের ফিন্যান্সিয়াল ডিসট্রিক্টে অবস্থিত৷ এখানে দেখা মিলবে বারবিকানের৷ এটির নকশা করে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান শ্যাম্বারলিন, পাওয়েল অ্যান্ড বন৷ ১৯৮২ সালে যখন এর উদ্বোধন করা হয়, তখন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বলেছিলেন যে এটা আধুনিক যুগের এক বিস্ময়৷ এখানে একটি গাইডেড ট্যুরের মাধ্যমে পর্যটকরা এর বিশেষত্ব সম্পর্কে জানতে পারেন৷

ব্রুটালিজম : নির্মমতা অথবা সাহসিকতার স্থাপত্য

বার্বিকানে একটি শিল্পকলা কেন্দ্র, একটি আর্ট গ্যালারি ও আবাসিক কমপ্লেক্স রয়েছে৷ স্থপতি মেলানি শুবার্ট খদ্দেরদের জন্য প্রায় দুই হাজার ফ্ল্যাট সংস্কার করেছেন৷

স্থপতি মেলানি শুবার্ট বলেন, ‘‘ব্রুটালিজম আমার পছন্দ৷ কিন্তু আপনার যদি ব্রুটালিজম বা বার্বিকান বা আধুনিক স্থাপত্যকলা নিয়ে কোন পড়াশোনা না থাকে, তাহলে এ নিয়ে কাজ করা কঠিন৷''

শহুরে মরুভূমিতে থেকে থেকে এই সবুজগুলো মরুদ্যান তৈরি করে৷ ১২৩ মিটার উঁচু তিনটি আবাসিক টাওয়ার লন্ডনের সর্বোচ্চ ভবনগুলোর মধ্যে পড়ে৷ আরেকটা বিশেষ দিক হলো, ওপরে পথচারীদের জন্য ও নিচে গাড়ি চলার রাস্তা৷ হেনরিয়েটার কাছে একটু পর পর বার্বিকানের দৃশ্যবদল ও এর সরলতা ভালো লাগে৷

বিলিংস বলেন, ‘‘একটি ব্লকে ঢোকার সিঁড়ি দেখতে পাচ্ছি আমরা৷ এটি কিন্তু কতগুলো কংক্রিট, ইস্পাত ও কাচের মিশেল৷ এই সহজ বিষয়টা আমার খুব ভালো লাগে৷ এই সরলতা আপনাকে এমন নকশা উপহার দেবে৷ কাঁচের মধ্য দিয়ে আপনি কংক্রিটের সিঁড়ি দেখতে পাচ্ছেন, দেখতে পাচ্ছেন স্টিলের ব্যানিস্টারও৷ তার মানে আপনি কাচের মধ্য দিয়ে আসলে সিঁড়ির উপাদানগুলোকেই দেখতে পাচ্ছেন৷ অসাধারণ৷''

ব্রুটালিজম স্থাপত্য শৈলী নিয়ে মতের পার্থক্য থাকলেও স্থাপত্যগুলো দেখার মতো৷

রবার্ট রিখটার/জেডএ