ভারত-পাকিস্তান
৫ জুলাই ২০১২ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব স্তরের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল সন্ত্রাস৷ সেটাতে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে মুম্বই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সন্দেহে ধৃত আবু হামজার স্বীকারোক্তি৷ তাতে সে মুম্বই হামলাকারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তয়বার পেছনে রাষ্ট্রীয় মদতের কথা বলেছে, এমনটাই দাবি ভারতের৷
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব রঞ্জন মাথাই এই ইস্যুতে পাকিস্তানের ওপর চাপ দিয়ে বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করার পথে সবথেকে বড় বিপদ সন্ত্রাস৷ তাই মুম্বই সন্ত্রাসী কাণ্ডের নেপথ্যচক্রীদের যদি পাকিস্তান সাজা দেয়, তাহলে সেটাই হবে আস্থা বর্ধক পদক্ষেপের সবথেকে যোগ্য উদাহরণ৷ তবে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে উভয় দেশ সম্মত৷
রাষ্ট্রীয় মদতের কথা জোর গলায় খারিজ করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব জলিল আব্বাস জিলানি বলেন, এই ইস্যু নিয়ে আমাদের মধ্যে ব্যাপক মত বিনিময় হয়েছে৷ যেসব তথ্যপ্রমাণ ভারতের হাতে আছে, তা যদি পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগ করা হয়, তাহলে পাকিস্তান সেবিষয়ে তদন্ত করতে পারে, এবং যৌথ তদন্তেও আপত্তি নেই৷ নিছক দোষারোপ পাল্টা, দোষারোপে কোনো ফল হবেনা৷
মাথাই স্মরণ করিয়ে দেন. এবিষয়ে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ গত মে মাসে ইসলামাবাদে স্বরাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকে দেয়া হয়েছিল৷ দু'দেশের আর্থিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির যে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে, সেই পথেই উভয় দেশ চলেছে৷
অন্য যেসব বিষয় আলোচনায় ওঠে, তারমধ্যে আছে কাশ্মীর, পাকিস্তান জেলে আটক ভারতীয় সরবজিত সিং-এর মুক্তি, দু'দেশের মৈত্রী ক্রিকেট ম্যাচ৷
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব জিলানি আজ সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণার সঙ্গে৷ আগামী সেপ্টেম্বরে ইসলামাবাদে বসবে ভারত-পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক৷ তবে তার আগে বসবে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আরো একটি বৈঠক৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ