1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে 'হাওয়ালা' চক্রের তদন্তে ইডি

১২ নভেম্বর ২০২৪

ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। বাংলাদেশ থেকে আসা নারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত।

https://p.dw.com/p/4muME
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তছবি: Biswa Kalyan Purkayastha

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান থেকে শুরু করে মানুষ পারাপার-- অনেকটাই হয় হাওয়ালার মাধ্যমে। অর্থাৎ, টাকার লেনদেনের মাধ্যম হাওয়ালা। এনিয়ে আগেও একাধিক তল্লাশি অভিযান হয়েছে। তবে এবার বড়সড় চক্রের সন্ধান পেয়েছে ভারতীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এমনটাই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় এবং ঝাড়খণ্ডে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি-র অফিসারেরা। পশ্চিমবঙ্গে সীমান্ত অঞ্চল মধ্যমগ্রাম, বনগাঁ এবং ব্যারাকপুরে একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তল্লাশি চলছে পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও।

ইডি-র এক অফিসার ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, কীভাবে এই টাকার লেনদেন হয়, কীভাবে এই চক্র চলে তার নির্দিষ্ট সূত্র তাদের হাতে এসেছে। তারই ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

কাঁটাতারহীন সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে পারে শরণার্থী

মধ্যমগ্রামে এক নারীর বাড়িতে পৌঁছেছে ইডি। ইডি সূত্র জানিয়েছে, এই নারীর কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। অভিযোগ, এই নারী বাংলাদেশ থেকে একাধিক নারীকে কাজের টোপ দিয়ে বেআইনি পথে ভারতে নিয়ে এসেছিল। বাংলাদেশ থেকে তাদের ভারতে নিয়ে আসার যাবতীয় লেনদেন হাওয়ালার মাধ্যমে হয়েছে।

ভারতে আসার পর বাংলাদেশের নারীরা বুঝতে পারেন, তাদের অন্যায় এবং অবৈধ কাজের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। একটি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তারা। উপায়ান্ত না থাকায় তারা ওই কাজে যোগ দিতে বাধ্য হন। তবে কয়েকদিনের মধ্যে কয়েকজন নারী পালিয়ে যান। পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে পৌঁছে যান তারা। সেখানে গিয়ে ঝাড়খণ্ড পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

সেই মামলার ভিত্তিতে বিষয়টি ইডি পর্যন্ত পৌঁছায়। এবং ইডি মনে করছে, হাওয়ালার একটি বিরাট চক্র এই গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারই ভিত্তিতে তদন্ত এবং তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। রাজ্যের মোট ১২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে।

ইডি জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা ঢোকার পর তা ভারতে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে। যে চক্রটি এর সঙ্গে যুক্ত, তারা কালো টাকা বাজারে খাটিয়ে সাদা করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সন্ধান পেয়েছে ইডি, যেখানে এই টাকা খাটানো হচ্ছে। তবে এবিষয়ে এখনই নির্দিষ্ট তথ্য জানাতে চাইনি ইডি।

এসজি/জিএইচ (ইডি)