1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাভারত

ভারতে ধর্মীয় স্থানে সমীক্ষা স্থগিত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

১২ ডিসেম্বর ২০২৪

মসজিদসহ ভারতের কোনো ধর্মস্থানে এখন সমীক্ষা চালানো যাবে না। যেসব সমীক্ষা চলছে সেগুলোও স্থগিত থাকবে। রায় সুপ্রিম কোর্টের।

https://p.dw.com/p/4o4Er
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
ধর্মীয় স্থানে সমীক্ষার কাজ স্থগিত রাখলো সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Kachroo

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বিশেষ বেঞ্চ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশের আগে সমস্ত ধর্মীয় স্থানে সমীক্ষার কাজ বন্ধ থাকবে। পুরনো আবেদনের ক্ষেত্রে নিম্ন আদালত এখন কোনো রায় দিতে পারবে না। এই বিষয়ে মামলা করা যাবে, কিন্তু সেই মামলা নথিভুক্ত হবে না বা তার কোনো শুনানি হবে না।

এর পাশাপাশি বিচারপতিরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে চার বছর আগে বিষয়টি নিয়ে তাদের মত জানাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো জবাব দেয়নি। তাদের আগে জবাব দিতে হবে। তারপর এই সমীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানাবে সর্বোচ্চ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ফলে বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদ, সম্ভলের মসজিদ, মথুরার মসজিদ নিয়ে যে সমীক্ষা চলছিল তা স্থগিত থাকবে বা নিম্ন আদালত এই বিষয়ে কোনো রায় দিতে পারবে না। জ্ঞানবাপী ও শাহি ইদগাহ মসজিদের প্রতিনিধিরা এদিন আদালতে উপস্থিতও ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবার প্লেসেস অফ রিলিজিয়াস ওয়রশিপ অ্যাক্ট বা ধর্মীয় উপাসনাস্থল সম্পর্কিত আইন নিয়ে ছয়টি আবেদনের শুনানি ছিল। তার মধ্যে একটি আবেদন বিজেপি নেতা সুব্রমণ্যম স্বামীর। ২০২০ সালের এই আবেদন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

কয়েকজন আবেদনকারীর করা আবেদনে বলা হয়েছে,  ধর্মীয় উপাসনাস্থল আইনে অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ধর্মীয় স্থানগুলি যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থাতেই থাকবে। তাহলে সমীক্ষার নির্দেশ কেন দেয়া হচ্ছে? আবার কিছু আবেদনকারীর বক্তব্য, এই আইনের ফলে হিন্দুদের ধর্মস্থানের ধর্মীয় চরিত্র ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।

কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে একটি মসজিদে সমীক্ষা চালানোর সময় সহিংসতা হয়। পাঁচজন মারা যান। তারপর সুপ্রিম কোর্টের আলাদা একটি বেঞ্চ এই সমীক্ষায় স্থগিতাদেশ জারি করে। তারা মসজিদ কর্তৃপক্ষকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যেতে বলে।

এখন অবশ্য তিন বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশের পর সব ধর্মীয় স্থানে সমীক্ষার কাজ বন্ধ থাকবে।

চার সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

জিএইচ/এসিবি(পিটিআই, এএনআই)