ভারতে বর্ষশেষের পার্টিতে লাগাম, কার্ফিউ
৩১ ডিসেম্বর ২০২০করোনার থাবা বর্ষশেষ ও নিউ ইয়ারের পার্টিতেও। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের মতো শহরগুলিতে থাকছে রাতের কার্ফিউ। বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত এগারোটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত কার্ফিউ বহাল থাকবে। ফলে পথে নেমে হইচই, পার্টি সব বন্ধ। অনেক শহরে রাত দশটা বা এগারোটায় হোটেল, রেস্তোরঁ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। করোনার নতুন স্ট্রেইন ভারতে চলে আসায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে ব্যতিক্রম হলো কলকাতা, চণ্ডিগড়ের মতো হাতে গোণা কয়েকটি শহর। কলকাতায় যেমন কার্ফিউ বা কোনো কড়াকড়ি নেই। চণ্ডিগড়েও তাই। ফলে কলকাতায় পার্ক স্ট্রিটের মতো এলাকায় হইচই করে গভীর রাতে বাড়ি ফেরার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
কিন্তু দিল্লি সহ অন্য শহরে তা হবে না। সাধারণত কনট প্লেস, ইন্ডিয়া গেটের মতো জায়গায় রাত বারোটা পর্যন্ত বর্ষশেষ উদযাপন করেন দিল্লিবাসী। কিন্তু এই বার ওই সব জায়গা মানুষের নাগালের বাইরে থাকবে। মুম্বইতেও বড় সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাতে কার্ফিউ থাকবে। তবে আত্মীয় বা বন্ধুর বাড়ি যাওয়া যাবে। সেখানে জমায়েত ছোট রাখতে হবে। পাবলিক প্লেসে একসঙ্গে চারজনের বেশি মানুষ থাকতে পারবেন না। সেটাও মাস্ক পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে।
বেঙ্গালুরুতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই কড়াকড়ি শুরু হয়ে গেছে। চেন্নাইতে মেরিনা সহ সব বিচ বন্ধ করে দেয়া হবে। হোটেল, রেস্তোরাঁ রাত দশটার মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। চেন্নাইতে নতুন ধরনের ভাইরাসে একজন আক্রান্ত হয়েছেন।
কলকাতায় নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসে একজন আক্রান্ত হলেও নতুন বছরের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনো কড়াকড়ি করা হচ্ছে না। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা মধ্যপন্থা নিয়ে এগোতে চাইছে।
গত সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে জানিয়েছিল, করোনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়। তারপর অধিকাংশ রাজ্যই কোনো ঝুঁকি নেয়নি।
নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভারতীয়দের জন্য সুখবর আসতে পারে। করোনার ভ্যাকসিন চালু করার কথা ঘোষণা করতে পারে সরকার। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরাম ইতিমধ্যেই ৭ কোটি ৫০ লাখ ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছে। আগামী সপ্তাহেই মোট ১০ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে বলে সেরাম জানিয়েছে। ফলে স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনার লড়াইয়ে পুরোভাগে থাকা মানুষদের অবিলম্বে টিকা দেয়া যাবে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, টিকা চালু করার সব প্রস্তুতি শেষ।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)