সিরিয়া
২৯ অক্টোবর ২০১২শান্তি ফিরতে পারে কেবল যুদ্ধ থামলেই৷ কিন্তু সে সম্ভাবনা একেবারেই নেই এখন৷ তুমুল যুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়৷ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সে দেশে বাশার আল-আসাদ সরকারের অনুগত বাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর যুদ্ধবিমান থেকে ব্যাপক বোমা বর্ষণ করেছে৷ অন্যদিকে দামেস্কের কাছে জারামানায় গাড়ি বোমা হামলায় মারা গেছে ১০ জন৷ সরকারি টেলিভিশন এ খবর প্রচার করেছে৷ জাতিসংঘ এবং আরব লিগের বিশেষ দূত লাখদার ব্রাহিমি সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন৷ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘‘এটা আগেও বলেছি এবং এখনো আবার আমাকে বলতে হচ্ছে যে, সিরিয়া সংকট ভয়ঙ্কর দিকে মোড় নিচ্ছে৷ সেখানে পরিস্থিতি খারাপ থেকে ক্রমশ আরো খারাপ হচ্ছে৷ একে গৃহযুদ্ধ না বলে কী বলা যেতে পারে আমি তা জানিনা৷ এই গৃহযুদ্ধের অবশ্যই অবসান দরকার৷’’
এর আগে ঈদ উপলক্ষ্যে যুদ্ধ বিরতির উদ্যোগ নিলেও তা কার্যকর না হওয়ার কারণেও হতাশা ঝরেছে তাঁর কন্ঠে৷ এ জন্য অবশ্য বিদ্রোহীদেরই দায়ী করেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী৷ রাষ্ঠ্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা এক বিবৃতিতে বিদ্রোহীরা সিরিয়াকে খণ্ডবিখণ্ড করে দিতে চায় – এমন দাবি করে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে৷ এ দেশকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে৷’’
এর আগে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনও হতাশা প্রকাশ করেন৷ তবে বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান যুদ্ধ থামিয়ে সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনারও ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি৷
ওদিকে চীনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের হয়ে যুদ্ধরত বিদেশিদের মধ্যে চীনের মুসলমানরাও রয়েছেন৷ এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জুন থেকে উইঘুর মুসলমানরা আল-কায়েদাসহ বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে মিলে আসাদ সরকারের অনুগত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে৷ এ সম্পর্কে চীন সরকারের প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি৷
সিরিয়ায় সোমবার গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে খ্রিষ্টান অধ্যুষিত জারামানা এলাকায়৷ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত খবর অনুযায়ী, একটি বেকারির সামনে গাড়িটি বিস্ফোরিত হলে নারী ও শিশুসহ ১০ জন মারা যায়৷
এসিবি/ডিজি (এপি, এএফপি)