যে সব বাড়ি তৈরিতে ৫০০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে!
কখনো টাকা ফুরিয়েছে, কোথাও বা আগ্রহ ফুরিয়েছে – বাড়ি তৈরি শেষ হতে হতে কেন শতাব্দীর পর শতাব্দী পার হয়ে যায়, তার অনেক কারণ থাকতে পারে৷ মস্কোর ক্রেমলিন বা জার্মানির উল্ম শহরের ক্যাথিড্রাল জানে সে কথা৷
উল্ম ক্যাথিড্রাল, জার্মানি
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গির্জার চুড়া এই উল্ম ক্যাথিড্রালেই৷ গির্জাটি তৈরি হয়েছিল শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দাদের বদান্যতায়, তাই বুঝি ৫০০ বছরের বেশি সময় লেগেছে কাজ শেষ করতে৷ দ্য মাদার অফ ক্রাউডফান্ডিং প্রকল্পটির ক্রনিক অর্থাভাব ছিল, তাই জার্মানির সবচেয়ে বড় প্রটেস্টান্ট চার্চটির নির্মাণকার্য শেষ হয় ১৯৮০ সালে৷
মালবর্ক ক্যাসল, পোল্যান্ড
ইউরোপের সবচেয়ে বড় ইটের বাড়ি হলো এই মালবর্ক দুর্গ; তৈরি করতে ৭০০ বছরের বেশি সময় লেগে গেছে শুধু নকশা বদলানোর জন্যেই নয়, যুদ্ধ আর লুটতরাজের দরুণও বটে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যখন শেষ হতে চলেছে, তখন মালবর্ক দুর্গের অর্ধেকের বেশি ধ্বংস হয়ে যায়৷ আজ এটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ও পোল্যান্ডের একটি মুখ্য টুরিস্ট অ্যাট্রাকশন৷
স্ট্রাসবুর্গ ক্যাথিড্রাল, ফ্রান্স
মহাকবি ইওহান ভল্ফগাং ফন গ্যোটে ছিলেন স্ট্রাসবুর্গ ক্যাথিড্রালের একজন ভক্ত৷ তিনি যখন স্ট্রাসবুর্গে পড়াশুনো করছেন, অষ্টাদশ শতাব্দীর সত্তরের দশকে, তখন ১৪২ মিটার উঁচু স্ট্রাসবুর্গ ক্যাথিড্রাল ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গির্জে৷ তবু নির্মাণকার্য চলে আরো ১০০ বছর ধরে৷ শেষমেষ ১৯৭০ সালে দক্ষিণের চুড়োটি অসমাপ্ত রেখেই কাজ বন্ধ হয়৷
মস্কোর ক্রেমলিন
রাশিয়ায় ক্ষমতার প্রতীকই হলো এই ক্রেমলিন,তার লাল ইট আর সোনালি গম্বুজ৷ অথচ এই ক্রেমলিন তৈরির কাজ শেষ হতে ৮০০ বছরের বেশি সময় লেগে গেছে৷ ষোড়শ আর সপ্তদশ শতাব্দীতে জার ও তাঁর পরিবারবর্গ এখানেই থাকতেন৷ পরে সোভিয়েত আমলে এটাই ছিল সরকারের আসন৷ আজ এর অনেকটাই মিউজিয়াম – আর গোটা কমপ্লেক্সটাই ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট৷
ভাভেল, পোল্যান্ড
পোল্যান্ডের ক্রাকাও শহরের ভাভেল কমপ্লেক্সটিতে কাজ চলেছে গত এক হাজার বছরের বেশি সময় ধরে! পোল্যান্ডের নৃপতিরা এখানে থাকতেন৷ প্রতি শতাব্দীতে নতুন নতুন ভবন যোগ হয়েছে ভাভেলে – এমনকি গত শতাব্দীতেও৷ কাজেই ভাভেল-এর কাহিনি আজও সমাপ্ত হয়নি এবং কোনোদিনই সমাপ্ত হবে না বলে ধরে নেওয়া যায়৷