রূপালিজগতের প্রেমে মশগুল বার্লিন

১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ‘বার্লিনালে’৷ এবারও এ উৎসবের সময়টাতে চলচ্চিত্রপ্রেমে নিমগ্ন বার্লিন৷ স্বপ্নেও এখন তারকাদের আনাগোনা৷ কফির বিজ্ঞাপনেও তারকাচুম্বনের ‘প্রলেভন’৷ কফির কাপে প্রতি চুমুকেই নাকি পাওয়া যাবে তারকাচুম্বনের আস্বাদ!

বার্লিনালের মূল ভেন্যুতে সুপারস্টারদের লালগালিচা সংবর্ধনা এ মুহূর্তে রোজকার ঘটনা৷ পথের পাশেও হঠাৎ হয়ে যেতে পারে তারকাদর্শন৷ পটসডামার প্লাৎসে পাবেন কিংবদন্তি জার্মান অভিনেত্রী ও গায়িকা মার্লেনে ডিট্রিশের দেখা৷ একটি সরণীরই নাম এখন ‘মার্লেনে ডিট্রিশ প্লাৎস! পথের বাঁকে বাঁকে তাঁর ছবি, ছবির পাশেই লেখা তাঁর বর্ণময় জীবনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা৷

সারা শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘সোনালি ভালুক’৷ চলচ্চিত্রের নিয়মিত অনুসারিমাত্রই জানেন, এই ‘সোনালি ভালুক’ আসলে বার্লিনালেরই প্রতীক৷ এ উৎসবের সেরা ছবির পুরস্কার ‘গোল্ডেন বেয়ার’৷ উৎসবের বিজ্ঞাপন হয়ে শহরময় ভালুকের ঘুরে বেড়ানোর উপলক্ষ্যও তাই বার্লিনালে৷

সংবাদমাধ্যমে এ মুহূর্তে বার্লিন মানেই বার্লিনালে৷ সংবাদপত্র, রেডিও-টেলিভিশন – সব মাধ্যমেই চলছে বার্লিনের এই চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে বিশেষ আয়োজনের ব্যস্ততা৷ এমনকি গভীর রাতেও চলছে চলচ্চিত্রবিষয়ক গুরুগম্ভীর আলোচনা৷

বার্লিনালের সঙ্গে কোনোভাবে জড়াতে পারলেই খ্যাতি, যশ বা অর্থপ্রাপ্তি প্রায় নিশ্চিত৷ যে যত ঘনিষ্ঠ, সুযোগ-প্রাপ্তির সম্ভাবনাও তার তত বেশি৷ ‘রেডিও আইন্স’ তাই এ মুহূর্তে জার্মানির সবচেয়ে গর্বিত রেডিও চ্যানেল৷ বার্লিনালের অফিসিয়াল মিডিয়া পার্টনার তারা৷

পটসডামার প্লাৎস তো বটেই, বার্লিনের প্রায় সব অলি-গলিতেই আছে বার্লিনালের কিছু-না-কিছু প্রচারণা, কোনো-না-কোনো আয়োজন৷ শপিংমলগুলোতেও বিক্রি হচ্ছে টিকিট৷

১১ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি – এই ১১ দিনে কোথায়, কখন, কী আয়োজন তা জানতে খুব একটা কষ্ট করার দরকারই নেই৷ শহরের বহু স্থানেই রাখা আছে বার্লিনালের সূচি৷

পটসডামার প্লাৎসে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ চোখ আটকে গেল সাদা-কালো বিজ্ঞাপনে৷ সেখানে জার্মান ভাষায় লেখা, ‘বেশি চলচ্চিত্র, বেশি জায়গা, বেশি সিনেমা’৷ প্রতিটি চলচ্চিত্রপ্রেমীর একেবারে মনের কথা – তাই না?