1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাজারে ব্যবসায়ীকে অপহরণ

২৩ জুন ২০২৩

কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাজারে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে মুখোশ পরা একদল সন্ত্রাসী।

https://p.dw.com/p/4SzEl
Bangladesh I Rohingya Refugee Camp in Cox's Bazar
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প৷ ফাইল ফটো৷ছবি: Kazi Salahuddin Razu/NurPhoto/picture alliance

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ওই ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম।

অপহৃত ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ কালু (৪০) হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব লেদা এলাকার বাসিন্দা। ওই বাজারে তার মুদির দোকান ছিল।

মোহাম্মদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন,‘‘অজ্ঞাত মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা কালুকে অপহরণ করে পশ্চিমে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। অপহরণের সময় তারা ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে’’

এ ঘটনার বিষয়ে ১৬ এপিবিএন সদস্যদের জানানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন,‘‘ব্যবসায়ীকে অপহরণের খবর শুনেছি। টেকনাফ থানায় জানানো হয়েছে’’

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘‘হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ব্যবসায়ীকে উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে টেকনাফ থানার দুটি দল উদ্ধারাভিযান চালাচ্ছে।’’

এছাড়া পুলিশ অপহৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলেও জানান ওসি। এর আগে, বুধবার টেকনাফের হোয়াইক্যং চাকমারকুল এলাকার ২১ নম্বর ক্যাম্প থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিন রোহিঙ্গা যুবক। তাদের পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা (মাঝি) মো. আজিজুল হক।

নাগরিকত্ব ছাড়া ঘরে ফিরবে না রোহিঙ্গা শরণার্থীরা

অপহৃতরা হলেন-হোয়াইক্যং ইউপি চাকমারকুল ২১ নম্বর ক্যাম্পের সি/১ ব্লকের রিজিম উল্লাহ (২৫), একই ব্লকের রিয়াজ উদ্দিন (২১) ও মজিবুল্লাহ (২৬)।

এ বিষয়ে ওই ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক সরোজ চন্দ্র ডেইলি স্টারকে বলেন, "বুধবার সকালে তিন রোহিঙ্গা যুবক বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরত আসেননি। বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের একটি মোবাইল নম্বর থেকে তাদের পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণের টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আমাদের জানিয়েছে।"

প্রসঙ্গত, গত সাত মাসে টেকনাফে অন্তত ৭৯ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার হলেও বাকিরা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। এই পর্যন্ত এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৩৯টি।

জেকে/এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য