লালকেল্লায় পতাকা তুলে মোদী বললেন, 'আবার ফিরব'
১৫ আগস্ট ২০২৩স্বাধীনতা দিবসের সকালে দিল্লির লালকেল্লায় পতাকা তুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে দেশবাসীকে সম্বোধন করলেন 'আমার প্রিয় পরিবারের সদস্য' বলে। এতদিন পর্যন্ত অভিযোগ ছিল, অশান্ত মণিপুর নিয়ে মোদী চুপ। মণিপুর নিয়ে প্রথম তিনি বলেন, অশান্তির প্রায় ৮০ দিন পর, সেটাও ৩০ সেকেন্ড। তারপর লোকসভায় অনাস্থা নিয়ে বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে একেবারে শেষে বলেছিলেন মণিপুর নিয়ে। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তিনি প্রথমেই মণিপুর নিয়ে বললেন।
সেইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, মানুষের তার উপর ভরসা থাকলে, পরের বছর ১৫ অগাস্টেও তিনিই লালকেল্লায় আবার ফিরে আসবেন। অর্থাৎ, ভোটে জিতলে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন
মণিপুর নিয়ে মোদী
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ''পুরো দেশ মণিপুরের পাশে আছে। মোদী বলেছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মণিপুরে সহিংসতা হয়েছে। অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদের মা, বোনেদের মর্যাদাহানি করা হয়েছে। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে সেখানে শান্তি ফিরছে।''
আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইঙ্গিত
মোদী বলেছেন, ''দেশের মানুষের ভরসা যদি আমার উপরে থাকে, তাহলে আগামী বছর আমি আবার লালকেল্লায় এভাবে ফিরে আসব। যে সব প্রকল্পের সূচনা করেছি, সেই সব প্রকল্পের উদ্বোধনও আমার ভাগ্যে লেখা আছে বলে মনে হচ্ছে।''
অনাস্থা বিতর্কেও মোদী বলেছিলেন, বিজেপি আবার ক্ষমতায় আসবে। তিনিই আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। এবার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে একই ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
দেড় ঘণ্টার ভাষণে তিনি যেমন নিজের সরকারের সাফল্যের কথা বলেছেন, তেমনই সমালোচনা করেছেন বিরোধীদের।
মোদীর দাবি, তিনি থাকলে পাঁচ বছরের মধ্যে ভারত অর্থনীতির শক্তিতে তিন নম্বর দেশ হবে। তার কথায়, এটা 'মোদী গ্যারান্টি'।
মোদী এদিন ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশ্বকর্মা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। এটা মূলত কর্মকার, ধোপা, নাপিত, স্বর্ণকার-সহ বিভিন্ন পেশের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা সাহায্য পাবেন।
আসেননি খাড়গে
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এদিন লালকেল্লার অনুষ্ঠানে যাননি। তিনি প্রথমে নিজের বাড়িতে ও পরে কংগ্রেস সদরদফতরে পতাকা তোলেন। খাড়গে বলেছেন, তার শরীর খারাপ ছিল। তার উপর দুই জায়গায় পতাকা তোলার ছিল। আর লালকেল্লায় যাওয়া ও আসার ক্ষেত্রে প্রচুর বিধিনিষেধ আছে। তাই তিনি যেতে পারেননি।
খাড়গে তার ভাষণে মোদী সরকারের প্রবল সমালোচনা ও জওহরলাল নেহরু ও অন্য কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীর কাজের তারিফ করেন।
রেড রোডে মমতা
কলকাতায় রেডরোডে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাধীনতা দিবসের প্যারেড। এখানে পতাকা তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবীন্দ্রনাথের গানে মুখরিত হয় রেড রোড। একের পর এক ট্যাবলো আসে। তার মধ্যে কন্যাশ্রী, সমুজসাথী, স্বাস্থ্যসাথী যেমন ছিল, তেমনই ছিল লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার, দুয়ারে রেশনও। ছিল দুর্গা-আবাহনও।
রাজ্যপাল আনন্দ বোস ব্যারাকপুরে গান্ধীঘাটে গিয়ে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধার্ঘ দেন। তারপর তিনি কলকাতায় অরবিন্দের মূর্তিতে মালা দেন। বাংলায় ভাষণ দেন।
হিমাচলে সমারোহ নয়
প্রবল বৃষ্টি, ধস, মেঘভাঙা বৃষ্টি, চকিত বন্যায় বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। তাই এদিন স্বাধীনতা দিবসে সরকারি অনুষ্ঠানে কোনো সমারোহ করা হয়নি।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)