শৈলরানি দার্জিলিং
কলকাতার গরম থেকে বাঁচতে ব্রিটিশরা খুঁজে বের করেছিলেন শৈলশহর দার্জিলিংকে৷ ‘কুইন অফ হিলস্’ নামটা তাদেরই দেওয়া৷ এখনও দলে দলে দেশি-বিদেশি পর্যটক বছরভর বেড়াতে যান উত্তরবঙ্গের এই হিল স্টেশনে, যার পথেঘাটে এখনও থমকে আছে সময়৷
তাকালেই কাঞ্চনজঙ্ঘা
দার্জিলিংয়ের অভিভাবকের মতো দাঁড়িয়ে আছে মহাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গ৷ যে কোনো জায়গা থেকে নজর কেড়ে নেয় তার অপরূপ সৌন্দর্য৷
দুরপিন হিল
দার্জিলিং শহরের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র এই ভিউ পয়েন্ট, স্থানীয় ভাষায় দুরপিন, বা দুরবিন হিল৷ এখান থেকে সরাসরি দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা৷
ছায়াময় রাস্তা
দার্জিলিং মানেই পাইন, পপলারের ছায়ামাখা, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা৷ দিনভর যে রাস্তায় হেঁটে বেড়ালেও ক্লান্তি আসে না৷
রঙিন প্রার্থনা
দার্জিলিংয়ের আরও একটা চেনা বৈশিষ্ট্য, শ্যাওলায় ঢাকা পাথুরে দেওয়ালের গায়ে সার দিয়ে টাঙানো, প্রার্থনা লেখা বর্ণময় কাপড়ের পতাকা৷ মূলত বৌদ্ধধর্মের এই প্রেয়ার ফ্ল্যাগ পাহাড়ি এলাকার অন্যান্য ধর্মস্থানেও দেখা যায়৷
ধর্মীয় শিলালিপি
প্রার্থনার মন্ত্র লেখা রাস্তার ধারের পাথরের গায়ে৷ বিজ্ঞাপনে মুখ ঢাকা শহরের দেওয়াল দেখতে দেখতে ক্লান্ত চোখ আরাম পায় এই সহজ, সরল, অনাড়ম্বর ধর্মাচরণের সৌন্দর্যে৷
সাবেকি ডাকবাক্স
ব্রিটিশ আমলের ডাকবাক্স৷ রাজকীয় চেহারা৷ এই ই-মেল, মোবাইল মেসেজের যুগেও এখনও সচল৷ চিঠি ফেললে পৌঁছে যায় ঠিক ঠিকানায়৷
কলোনিয়াল
ব্রিটিশরাই খুব যত্নে গড়ে তুলেছিল দার্জিলিংকে৷ এখনও পুরনো বাতিস্তম্ভে পাওয়া যায় সেই কদরের চিহ্ন৷ এখন যদিও বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে৷
বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনাদের ঘাঁটি ছিল দার্জিলিংয়েও৷ সেই সময়ের কিছু অতিকায় ল্যান্ডরোভার গাড়ি এখনও দেখা যায় শহরের রাস্তায়৷
দার্জিলিং মল
দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তা বা বিখ্যাত মল৷ সময় থমকে আছে যেখানে৷ পুরনো সব দোকান ঘেরা চত্বরে এই ঘোড়াওয়ালারাও আছে সেই প্রথম থেকেই৷
কিউরিওসিটি শপ
কিউরিওর দোকান ছাড়া দার্জিলিং অসম্পূর্ণ৷ এই সব দোকান একেকটি রত্নভাণ্ডার৷ প্রাচীন তিব্বতি পুঁথি, মুখোশ থেকে শুরু করে রত্নখচিত অলংকার, সব পাওয়া যায় এখানে৷