সমুদ্র বাঁচাতে বৈশ্বিক চুক্তি
অতিমাত্রায় মাছ ধরা এবং সমুদ্রের পরিবেশ ক্ষতি করে মানুষের নানা কর্মকাণ্ড থেকে সমুদ্রকে বাঁচাতে একটি নতুন চুক্তি সই হচ্ছে জাতিসংঘে৷ সমুদ্রের পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়া রোধে এটি আরেকটি উদ্যোগ৷ কিন্তু তাতে কি বাঁচবে সমুদ্র?
৩০-এর মধ্যে ৩০
গত বছর জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর ভূমি ও জলের ৩০ ভাগ সুরক্ষা করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে৷ একে বলা হয় ‘থার্টি বাই থার্টি’ বা ত্রিশের মধ্যে ত্রিশ৷ তার প্রেক্ষিতে এ বছর মার্চে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় একটি বৈশ্বিক চুক্তির ব্যাপারে একমত হয় সদস্য দেশগুলো৷ জুনে সেই চুক্তি চূড়ান্ত হয়৷ চলমান জাতিসংঘ সম্মেলনে অন্তত ৬০টি সদস্য রাষ্ট্রের এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করার কথা৷
জাতীয় পর্যায়ে অনুমদোন
এই চুক্তি সদস্য দেশগুলো জাতিসংঘের বার্ষিক সম্মেলনে সই করলেও তা জাতীয় পর্যায়ে অনুমদোনের বিষয় আছে৷ সেখানে অনুমোদিত হলেই তা কার্যকর হবে৷ পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন গ্রিনপিস এই চুক্তি সাক্ষরের মুহূর্তকে স্বাগত জানিয়েছে৷
চুক্তিতে কী থাকছে?
এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে সমুদ্রে অনেকগুলো অভয়ারণ্য তৈরি হবে যেখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে৷ এছাড়া সমুদ্রে সামগ্রিকভাবে মানব কর্মকাণ্ড পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনা করে অনুমোদন করা হবে৷
অর্থ
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচার নামের সংস্থা বলছে, চুক্তি বাস্তবায়ন করতে শুরুতে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে৷ এছাড়া বিশেষ উদ্যোগ কার্যকর ও জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রতি বছর প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন হতে পারে৷
সমুদ্রের ঝুঁকি
অতিমাত্রায় মাছ ধরার কারণে সমুদ্রের পরিবেশ এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে৷ এছাড়া সমুদ্রের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সেখানকার জীববৈচিত্র্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ৷ সমুদ্র প্রচুর পরিমাণ কার্বন ধরে রাখে৷ সেখানে ‘ওশেন-বেড মাইনিং’ বা অন্য জিওইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মত নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার একে আরো ঝুঁকিতে ফেলছে৷