সলোমন-চীন চুক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি সই করেছে চীন৷ এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র৷
নিরাপত্তা চুক্তি সই
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি সই করার কথা মঙ্গলবার জানিয়েছে চীন৷ এরপর বুধবার সলোমনের প্রধানমন্ত্রী মানাসে সোগাভারে সংসদে চুক্তি সইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন৷ উপরে ২০১৯ সালে অন্য একটি চুক্তি সইয়ের ছবি দেখা যাচ্ছে৷
উদ্বেগ
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ থেকে অস্ট্রেলিয়ার দূরত্ব দুই হাজার কিলোমিটারের কম৷ চুক্তির আওতায় চীন সলোমনে সামরিক বাহিনী পাঠাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অস্ট্রেলিয়া৷ একই বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রও৷
চুক্তি কী আছে?
চুক্তিটি এখনও প্রকাশ করা হয়নি৷ এটি কবে, কোথায় সই হয়েছে সেটিও জানানো হয়নি৷ সলোমনের প্রধানমন্ত্রী সোগাভারে (ছবি) শুধু জানিয়েছেন ‘কিছু দিন আগে’ এই সই হয়েছে৷ চুক্তিটি কবে প্রকাশ করা হবে - বুধবার সংসদে বিরোধী নেতার এই প্রশ্নের উত্তর দেননি সোগাভারে৷
খসড়া
সই হওয়া চুক্তিতে কী আছে তা জানা না গেলেও গতমাসে ফাঁস হওয়া খসড়া চুক্তিতে দেখা গেছে, চীনকে সলোমনে নৌবাহিনী মোতায়নের অনুমতি দেয়া হবে৷ তবে ১ এপ্রিল সোগাভারে বলেছিলেন, তিনি সামরিক ঘাঁটি বানানোর জন্য চীনকে আমন্ত্রণ করেননি৷ ছবিতে সলোমনে চীনের দূতাবাস দেখা যাচ্ছে৷
থামানোর চেষ্টা
খসড়া ফাঁস হওয়ার পর চুক্তিটি যেন স্বাক্ষরিত না হয় সেজন্য অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করেছিল৷ অস্ট্রেলিয়া তাদের প্যাসিফিক মন্ত্রীকে সলোমনে পাঠিয়েছিল৷ আর যুক্তরাষ্ট্র তাদের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক কর্মকর্তাকে সলোমনে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল৷ তার আগেই চুক্তিটি সই করে ফেলে চীন ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জ৷
সলোমন পরিচিতি
ছয়টি বড় দ্বীপসহ প্রায় এক হাজার দ্বীপের দেশ সলোমনের আয়তন প্রায় ২৮ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার৷ বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য বলছে, সেখানকার জনসংখ্যা ছয় লাখ ৮৬ হাজার৷ গত নভেম্বরে দেশটির রাজধানীতে সোগাভারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে৷ দারিদ্র্য, বেকারত্ব, আন্তঃদ্বীপ শত্রুতা, চীনবিরোধী মনোভাব এসব কারণে বিক্ষোভ হয়েছে৷ সেই সময় রাজধানীর চায়নটাউনের অনেকখানি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল৷