কলকাতার শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি তিন প্রসূতির অবস্থা ভালো নয়। তাদের দেহে সংক্রমণ রয়েছে। কিডনি ও ফুসফুস ঠিক ভাবে কাজ করছে না।
এ জন্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলছেন চিকিৎসকরা। সাবেক সাংসদ ও চিকিৎসক-নেতা তরুণ মণ্ডল বলেন, "যে সামগ্রী নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যা হাসপাতালে থাকাই উচিত নয়, সেটা কার নির্দেশে থেকে গেল স্টকে, এর উত্তর খুঁজতে হবে। স্বাস্থ্য ভবন যেটিকে বাতিল করে নির্দেশ পাঠিয়েছে, সেটা চিকিৎসায় ব্যবহার শুধু অজ্ঞানতাবশত হয়েছে, এটা ভাবার কারণ নেই। কিন্তু রাজ্য সরকারের অধীন সিআইডি প্রশাসনিক স্তরের গাফিলতি কতটা প্রকাশ্যে আনবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।"
কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, কোনো সিনিয়র চিকিৎসক কি প্রসূতির অপারেশনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন? এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপার ও এমএসভিপির সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারীরা।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের চিকিৎসক পড়ুয়ারা অপারেশন থিয়েটারে আলাদা আলাদা ভূমিকা পালন করেন। তৃতীয় বর্ষের পিজিটিরা অস্ত্রোপচার করতে পারেন সিনিয়র চিকিৎসকের উপস্থিতিতে। সিনিয়র কেউ না থাকলে অস্ত্রোপচার করার কথা নয়।