1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরীয়দের আশ্রয় আবেদন স্থগিত করেছে জার্মানি

১০ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিয়ার পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর দেশটির আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই জার্মানি আপাতত বন্ধ রেখেছে৷ বাশার আল-আসাদের পতন জার্মানিতে তাদের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4nxqx
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন ঘটেছে রোববার৷ বিদ্রোহীরা দেশটির রাজধানী দামেস্কে পৌঁছে গেলে তিনি পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম৷
আসাদের পতনের পর দেশে ফিরতে শুরু করেছেন সিরীয়রাছবি: Dilara Senkaya/REUTERS

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন ঘটেছে রোববার৷ বিদ্রোহীরা দেশটির রাজধানী দামেস্কে পৌঁছে গেলে তিনি পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম৷

এদিকে, আসাদের পতনের পর জার্মানিতে অবস্থানরত সিরীয় শরণার্থীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর আলোচনা শুরু হয়েছে৷

জার্মানির বিরোধী দল সিডিইউ এবং বাভারিয়া রাজ্যে তাদের অংশ সিএসইউর জ্যেষ্ঠ নেতারা সিরীয়দেরকে তাদের দেশে ফিরে যেতে উৎসাহিত করেছেন৷ 

প্রভাবশালী সিডিইউ রাজনীতিবিদ ইয়েন স্পান সোমবার জার্মান প্রচারমাধ্যম আরটিএলকে বলেন, ‘‘প্রথম ধাপে আমরা একটা প্রস্তাব দিতে পারি৷ জার্মান সরকার এমনটা ঘোষণা দিতে পারে যে: আমরা তাদের জন্য বিশেষ ফিরতি বিমানের আয়োজন করবো এবং তাদের শুরুতে এক হাজার ইউরো করে দেবো৷''

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্পান যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াকে পুর্নগঠনে তুরস্ক, অস্ট্রিয়া এবং জর্ডানকে সাথে নিয়ে জার্মানি একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের পক্ষে৷

তবে সিরীয় শরণার্থীদের নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের সমালোচনাও শোনা যাচ্ছে৷ চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের মধ্যবামপন্থি দল এসপিডি এবং পরিবেশবান্ধব গ্রিন পার্টি মনে করছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই এ ধরনের আলোচনা শুরু ঠিক হবে না৷

সবুজ দলের রাজনীতিবিদ ক্যাথরিন গ্যোরিং-একার্ট বলেন, ‘‘সিরিয়া যদি একটি নিরাপদ দেশে পরিনত হয় তাহলে মানুষ ফেরত যাবেন, তবে সেই আলোচনা দেশটিতে নিয়ম-শৃঙ্খলা এবং স্থিতিশীলতা ফেরার পর করা যাবে৷ সিরিয়ায় স্বাধীনতা, স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির জন্য সুবিধাজনক সবকিছুকে আমাদের সমর্থন করা উচিত৷''

জার্মানির অভিবাসন এবং শরণার্থী বিষয়ক দপ্তর বিএএমএফ-এর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে সাবেক প্রেসিডেন্ট আসাদের পতনের পর জার্মানিতে সিরীয়দের আশ্রয় আবেদন যাচাইবাছাই প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে৷

জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করা ৪৭ হাজারের বেশি সিরীয়র ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র৷

বার্লিনে সাংবাদিকদেরকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘বিএএমএফ প্রতিটি ঘটনাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং এর মধ্যে আবেদনকারী যে দেশ বা অঞ্চল থেকে এসেছেন, সেখানকার পরিস্থিতিও রয়েছে৷''

জার্মানিতে বর্তমানে প্রায় দশ লাখ সিরীয় বসবাস করছেন বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়৷ তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার নব্বই জন আশ্রয়প্রার্থীর এবং তিন লাখ ২১ হাজার চারশো চুয়াল্লিশজন শরণার্থীর মর্যাদায় রয়েছেন৷ 

এআই/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)