সুপ্রিম কোর্টে জামিন পার্থর, তবে এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এক ফেব্রুয়ারির মধ্যে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পাবেন। তার আগে ডিসেম্বরের মধ্যে এই মামলায় চার্জ গঠন করতে হবে । জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতকে প্রধান সাক্ষীদের বয়ান নিতে হবে। তারপর জামিনে মুক্ত হবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২৩ জুলাই থেকে পার্থ জেলে আছেন। এতদিন নিম্ন আদালত, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে তিনি জামিন পাননি। কারণ, তদন্তকারী সংস্থার দাবি ছিল, পার্থ খুবই প্রভাবশালী মানুষ। জামিনে মুক্তি পেলে তিনি মামলাকে প্রভাবিত করতে পারবেন।
এর আগে সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ৫২ কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ঘুষের না হলে এত টাকা কেউ বাড়িতে রাখবে না। তাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর দায় এড়াতে পারেন না। তদন্ত একটা জায়গায় পৌঁছালে তারপরই তার জামিনের বিষয়টি ভাবা যেতে পারে।
কিন্তু শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ট্রায়াল কোর্টকে চার্জ গঠন করতে হবে। তারপর জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে সংবেদনশীল সাক্ষীদের বক্তব্য নথিভুক্ত করতে হবে। যাদের প্রভাবিত করার বা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাদের বক্তব্য নিয়ে নিতে হবে।
এটা হয়ে গেলে এক ফেব্রুয়ারির মধ্যে জামিন দিতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। এটা শুধুমাত্র ইডি-র মামলায় জামিন। এই জামিন পাওার পর পার্থ কোনো সরকারি পদ নিতে পারবেন না। তিনি শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক থেকে যেতে পারবেন।
এখনো বাধা থাকছে?
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শুধু ইডি নয়, সিবিআই-ও গ্রেপ্তার করেছে। সুপ্রিম কোর্ট এদিন শুধু ইডি-র মামলায় তাকে জামিন দিয়েছে। সিবিআইয়ের মামলায় তিনি কিন্তু জামিন পাননি। তাই ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিনি মুক্তি পাবেন নাকি, সিবিআইয়ের মামলাতেও জামিন পেতে হবে, সেই প্রশ্ন থাকছে।
কী প্রতিক্রিয়া
আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা নিউজ১৮কে বলেছেন, ''আমাদের পরিশ্রম সফল হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ। তারা সমতা রক্ষা করেছে। ইডিকে এখন মামলা ত্বরান্বিত করতে হবে। এটা ইডির কাছে একটা চ্যালেঞ্জ।''
বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ''জামিন হচ্ছে আদালতের একটা প্রক্রিয়া। জামিন পাওয়া মানেই কিন্তু অভিযোগমুক্ত হওয়া নয়। এই মামলার সর্বোচ্চ সাজার এক তৃতীয়াংশ সাজা ইতিমধ্যেই পার্থর ভোগ করা হয়ে গেছে। এখন চূড়ান্ত সাজা ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমরা চাই,বিচারপর্ব যেন দ্রুত শেষ হয়। তদন্তকারী সংস্থাও জামিন খারিজ করার জন্য উচ্চ-আদালতে যেতে পারে।''
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী টিভি৯-কে বলেছেন, ''পরপর সবাই জামিন পাচ্ছেন। এখন তদন্তকারী সংস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠবে। মনে হচ্ছে, তদন্ত প্রক্রিয়া ঠিকভাবে এগোচ্ছে না, সেটাও হয়ত জামিন দেয়ার একটা কারণ।''
জিএইচ/এসিবি(পিটিআই, এএনআই)