সেই যুগোশ্লাভিয়ার অদ্ভুত সব স্থাপত্য
কমিউনিস্ট নেতা মার্শাল টিটোর সময় তখনকার দেশ যুগোশ্লাভিয়ার অনেক স্থাপত্য আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল৷ সেগুলো এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে৷ ইনস্টাগ্রামে আজও দেখা মিলছে এসব ছবির৷
অ্যাপার্টমেন্ট টাওয়ার
এই লম্বা ভবনগুলো বেলগ্রেড শহরের কনিয়ারনিক এলাকায়৷ এর নাম ‘টেস্টেরা’৷ সার্বিয়ান ভাষায় টেস্টেরা অর্থ করাত৷ এদের নির্মাণের স্টাইলের কারণে এমন নাম দেয়া হয়েছে৷ পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে মার্শাল টিটোর শাসনামলে এগুলো নির্মাণ করা হয়৷
এভিয়েশন মিউজিয়াম
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালে সোশ্যালিস্ট ফেডারেল রিপাবলিক অফ যুগোস্লাভের নেতা হন টিটো৷ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর৷ তখন তিনি নানা ধরনের স্থাপত্যে যুদ্ধের ভয়াবহতার চিহ্ন ধরে রাখতে চান তিনি৷ এই অ্যাভিয়েশন মিউজিয়ামটি ১৯৬৯ সালে বেলগ্রেডে তৈরি করা হয়৷
অদ্ভুত স্মৃতিচিহ্ন
ক্রোয়েশিয়ার পেত্রোভা গোরা পর্বতশ্রেণির সর্বোচ্চ চূড়ায় তৈরি করা হয় এই অদ্ভুত স্মৃতিচিহ্নটি৷ নাৎসিদের বিরুদ্ধে কোরদুন ও বানিয়ার সাধারণ মানুষদের প্রতিরোধের ফলক এটি৷
সার্বিয়ার প্যালেস
সাবেক প্রেসিডেন্ট ভবনটি প্যালেস অফ সার্বিয়া নামে পরিচিত৷ এর নির্মাণ শুরু হয় ১৮৪৭ সালে৷ খোলা হয় ১৯৬১ সালে৷ বেলগ্রেডের অন্যতম বড় এই ভবনটির প্রতিটি ঘর যুগোশ্লাভিয়ার একেকটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করে৷ এর আসবাব থেকে শুরু করে প্রতিটি বস্তু হাতের তৈরি৷
অমানবিক বসতি
সার্বিয়ার এই ভবনটি টিভি বিল্ডিং নামে পরিচিত৷ এ ভবনটি তৈরির সময় এর নির্মাণশৈলীর জন্য বেশ সাড়া পড়ে গিয়েছিল৷
বিশালাকার গম্বুজ
বেলগ্রেড মেলার এক নম্বর হল এটি৷ ১৯৫৭ সালে যখন এটি তৈরি হয়, এর গম্বুজটি ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড়৷ যুদ্ধপরবর্তী আধুনিক সমাজের দুঃসাহসিক স্থাপত্যের উদাহরণ এটি৷