1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেরে উঠছেন বুদ্ধদেব

২ আগস্ট ২০২৩

রাইলস টিউবের মাধ্যমে খাবার দেয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরে। এই অবস্থায় নিজে থেকে আমও খেতে চেয়েছেন তিনি।

https://p.dw.com/p/4Ugvh
সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ডের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, বুধবার সকালে বুদ্ধদেব আম খেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি প্রায় নেই।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/dpa/P.Adhikary

বুদ্ধদেবের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা এক চিকিৎসক এ কথা জানান। তবে তিনি বলেছেন, এখন আম খাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।

ফুসফুস এবং শ্বাসনালীতে সংক্রমণের কারণে গত শনিবার কলকাতার দক্ষিণের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তবে শনিবারের চেয়ে শারীরিক অবস্থার খানিকটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বিপদ এখনো কাটেনি।

তাই ঝুঁকি না নিয়ে রাইলস টিউব দিয়ে খাবার প্রবেশ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। বুধবারও এভাবেই খেয়েছেন তিনি  তিনি। যদিও শরীরে বিভিন্ন নল নিয়ে আপত্তি রয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। স্বজন এবং চিকিৎসকেদের তিনি অনুরোধ করেছেন, শরীর থেকে সব নল খুলে নিতে।

সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ডের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, বুধবার সকালে বুদ্ধদেব আম খেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি প্রায় নেই।

তাকে ‘স্পিচ অ্যান্ড সোয়ালো রিহ্যাবিলিটেশন থেরাপিস্ট' দেখে গিয়েছেন। কিছু খেলে গলায় আটকে যেতে পারে কি না তা দেখা হয়েছে। তবে এখনও রাইলস টিউবের মাধ্যমেই তার শরীরে খাবার প্রবেশ করানো হচ্ছে। মুখ দিয়ে কিছু খেতে দেয়া হচ্ছে না।

আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি কথা বলতে শুরু করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, তিনি চিকিৎসকদের  বলেছেন, ‘‘আমাকে এ বার ছেড়ে দিন।'' মনে করা হচ্ছে, হাসপাতাল থেকে তিনি ফিরতে চান পাম অ্যাভিনিউয়ের সরকারি ফ্ল্যাটে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  বুদ্ধবাবুর ক্রিয়েটিনিন রিপোর্ট  যথেষ্ট সন্তোষজনক। অ্যান্টোবায়োটিক কাজ করেছে। এখন শারীরিক পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তাই আচ্ছন্ন করে রাখার ব্যবস্থা কমিয়ে দেওয়ার ফলে বুদ্ধদেব শুনতে পাচ্ছেন, চিনতে পারছেন, বুঝতে পারছেন এবং সবটা অনুভব করতে পারছেন

আরকেসি/এসিবি (আনন্দবাজার, হিন্দুস্তান টাইমস)