হংকংয়ে আবাসন সংকট ও সাধারণের যাপিত জীবন
তীব্র আবসন সংকটে ভুগছে হংকং। এশিয়ার এই দেশটিতে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও কেমন বাসায় কিভাবে থাকতে হয় দেখুন ছবিঘরে...
বাড়ি, নাকি খাঁচা?
খাঁচার মতো একটি ঘরে শুয়ে আছেন একজন। বসবাসের অনুপযুক্ত হওয়ায় এমন বাড়ি অবশ্য কমে আসছে হংকংয়ে। তবে 'খাঁচার' মতো বাড়ির জায়গা নিয়েছে ‘কফিন’ বাড়ি।
'কফিন' বাড়ি
কফিন বাড়ির ভেতর থেকে ছবি তোলার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন ৭৩ বছর বয়সি লিউং চুং লিউং। আড়াই হাজার হংকং ডলার দিয়ে এ বাড়ি ভাড়া নিলেও গত দুই বছরে এর ভাড়া ২০০ ডলার বেড়েছে। লিউং চুং সরকারি বাসভবন পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে।
বিকল্প নেই
কফিন বাড়ির আরেক বাসিন্দা ৬৬ বছরের ওয়ং উইং কি। সরকারি বাসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকা ওয়ং উইং প্রায় ৪ বছর ধরে বাস করছেন এই ছোট্ট ঘরে। তাকেও প্রতি মাসে বাড়িভাড়া হিসেবে খরচ করতে হচ্ছে আড়াই হাজার হংকং ডলার। যদিও তার বাড়িভাড়া সরকারি ভাতা থেকে পরিশোধ করা হয়, তবুও তিনি এই কফিন বাড়ি থেকে পরিত্রাণ চান।
শান্তির ঠিকানা
ওয়োং চি-কং তার ৫০ বর্গ ফুটের বাড়ির জন্য, আনুষঙ্গিক বিল ছাড়া প্রতি মাসে দুই হাজার ৯০০ হংকং ডলার ভাড়া দিচ্ছেন। স্ট্রোক করার পর থেকে লাঠির সহায়তায় চলাচল করেন ওয়োং চি-কং৷ জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়তে থাকায় বাধ্য হয়েই এই ঘরে থাকছেন দুবছর ধরে। দিনের অনেকটা সময় লাইব্রেরি ও চায়ের দোকানে কাটিয়ে দেন তিনি। সরকারি বাসার জন্য আক্ষেপ করে তিনি বলেন "যেখানে শান্তি আছে, সেটি আসলে বাড়ি।"
পাখির চোখে...
হংকং মানেই আকাশচুম্বী অট্টালিকার সমারোহ। সাবেক এই ব্রিটিশ কলোনি হংকং এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। তবে ডেমোগ্রাফিয়া নামক একটি সংস্থার জরিপ অনুযায়ী টানা ১৪ বছর ধরে হংকং বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর।