সৌদি প্রিন্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
১৯ অক্টোবর ২০১৬তবে প্রিন্স তুর্কি বিন সৌদ বিন তুর্কি বিন সৌদ আল-কবিরকে কীভাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তা মন্ত্রণালয় জানায়নি৷ সৌদি আরবে সাধারণত শিরশ্ছেদের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বলছে, ২০১২ সালে কথিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে৷ সে বছরই প্রিন্সের হাতে খুন হন এক সৌদি নাগরিক৷ নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার পর প্রিন্সের গুলিতে নিহত হন তিনি৷
লেবানিজ-অ্যামেরিকান সাংবাদিক ও নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষক মোহামেদ বাজ্জি সংবাদটি টুইটারে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘সৌদি রাজ পরিবার দেখাতে চাইছে যে, রাজ পরিবারের সদস্যেরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷''
সৌদি নাগরিকদের জন্য এটি একটি ‘শক্তিশালী বার্তা' বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক আল ওয়াহাবি৷
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ক্ষেত্রে সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ হলেও রাজ পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া একটি বিরল ঘটনা৷ এর আগে ১৯৭৫ সালে চাচাকে হত্যার দায়ে প্রিন্স ফয়সাল বিন মুসাইদ আল সৌদকে মৃত্যদণ্ড দেয়া হয়েছিল৷
উল্লেখ্য, সৌদি রাজ পরিবারের সদস্য সংখ্যা কয়েক হাজার৷ তাঁরা প্রত্যেকে সরকারের কাছ থেকে মাসিক ভাতা পেয়ে থাকেন৷ সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন প্রিন্সরা রাজনৈতিক ক্ষমতা ও সম্পদের অধিকারী হয়ে থাকেন৷
প্রিন্স কবিরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মাধ্যমে চলতি বছর ১৩৪ জনকে এই দণ্ড দেয়া হলো বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷ সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি থেকে এই সংখ্যা বের করেছে সংস্থাটি৷
এদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসেব বলছে, ২০১৫ সালে সৌদি আরবে ১৫৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷ ফলে ইরান আর পাকিস্তানের পর সে দেশেই সবচেয়ে বেশি মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷ অবশ্য অ্যামনেস্টির তালিকায় চীনের নাম নেই৷ কারণ চীন কখনও তালিকা প্রকাশ করেনা৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)