1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিমাচলে প্রবল বৃষ্টি, ধস, চকিত বন্যায় মৃত ৫০

১৫ আগস্ট ২০২৩

হিমাচল প্রদেশে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। দুই দিনে ধস, চকিত বন্যা ও বাড়ি ভেঙে পড়ে ৫০ জন মারা গেছেন।

https://p.dw.com/p/4V9oj
প্রবল বৃষ্টির পর হিমাচলে বিভিন্ন জায়গায় ধস নামে।
হিমাচলে প্রবল বৃষ্টি, ধস, চকিত বন্যায় মারা গেছেন অন্ততপক্ষে ৫০ জন। ছবি: AFP

সিমলায় ধসের পর একটি মন্দির ভেঙে অন্ততপক্ষে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে।  সিমলায় দুইটি জায়গায় ধস নেমেছে। সবমিলিয়ে অন্তত ১৫ জন মারা গেছেন। মান্ডিতে চকিত বন্যায় মারা গেছেন ১১ জন। সোলানেও ক্লাউড বার্স্ট বা মেঘ-ভাঙা বৃষ্টির পর চকিত বন্যা হয়। সেখানেও সাতজন মারা গেছেন। মান্ডি জেলার সম্ভলে হড়পা বানে মারা গেছেন অন্তত ১০ জন। কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন।

সিমলা-কালকা রেলপথের কিছু অংশ ভেসে গেছে। এই রেলপথকে ওয়ার্ল্ড হেজিটেজের মর্যাদা দিয়েছে জাতিসংঘ। পাহাড়ি নদীগুলির জল অনেকটাই বেড়ে গেছে। বিপাশা নদীর জল বিপদসীমার কাছে পৌঁছে গেছে। প্রচুর সেতু ভেসে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় ধস নামছে। ফলে অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।

ভারতের দুই পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে মোট সাতশ রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিছু রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছে। কিছু রাস্তায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য সারাই করাও সম্ভব হচ্ছে না। কালকা-সিমলা রোডও নানা জায়গায় ধস নেমেছে। ফলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ কী করে প্রবল গতিতে জল নেমে সবকিছু ভাসিয়ে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, সকলে যেন বাড়িতে থাকেন। নদীর কাছে না যান। সরকার সকলের কাছে ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করছে।

সিমলায় সামার হিল এলাকায় একটি শিবমন্দিরের একাংশ ভেঙে পড়েছে। তার ফলে নয় জন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে প্রশাসন আশঙ্কা করছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিমলা, সোলান,মান্ডি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির সম্বাবনা আছে। ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।

উত্তরাখণ্ডেও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানেও ধস নেমেছে। নদীর জল বেড়েছে। রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)