গর্ভকালীন ভায়াগ্রার পরীক্ষা!
২৫ জুলাই ২০১৮দীর্ঘদিন গবেষণার পর ২৩ জুলাই ডাচ গবেষকরা এই গবেষণা বন্ধের ঘোষণা দেন৷ গর্ভবতী নারীদের ওপর ভায়াগ্রা প্রয়োগের ফলে ১১ শিশু ফুসফুসের সমস্যায় মারা গেছে বলেও জানান তাঁরা৷
১১টি ডাচ হাসপাতালের সাথে মিলে আমস্টারডাম ইউনিভার্সিটির ‘অ্যাকাডেমিক মেডিকেল সেন্টার' (এএমসি) এই গবেষণা চালিয়েছে৷ গর্ভের ভ্রুণ বেশি অপরিপক্ব, এমন মায়েদের ওপর প্রয়োগ করা হয় সিলডেনাফিল, সাধারণভাবে যাভায়াগ্রা নামে পরিচিত৷
ভায়াগ্রা প্রয়োগে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়৷ এএমসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগের এক গবেষণায় দেখা গেছে এর ফলে ভ্রুণের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়৷
ফলে ডাক্তাররা দেখতে চেয়েছিলেন এই ড্রাগের প্রয়োগে ‘ভূমিষ্ঠ না হওয়া শিশুর বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় কিনা'৷ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, শিশুর জন্মের পর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে৷'' এএমসি আরো জানিয়েছে, সাম্প্রতিক পরীক্ষায় যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি৷
২০১৫ সাল থেকে ১৮৩ জন গর্ভবতী মায়ের ওপর এ পরীক্ষা চালানো হয়৷ ৯৩ নারীকে দেয়া হয় ভায়াগ্রা, বাকিদের দেয়া হয় প্লাসিবো নামের অন্য এক ওষুধ৷
ভায়াগ্রা গ্রহণকারীদের মধ্যে ১৯ জনের সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পরই মারা যায়৷ এর মধ্যে ১১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে ফুসফুসে অতিরিক্ত রক্তচাপে, যা ভায়াগ্রার কারণেই হয়েছে বলে ধারণা গবেষকদের৷ আরো ৬ শিশুর ফুসফুসে সমস্যা থাকলেও তাঁরা বেঁচে আছে৷
অন্যদিকে প্লাসিবো গ্রুপের ৯০ বাচ্চা মৃত্যুবরণ করলেও, তাঁদের কারোরই ফুসফুসে সমস্যা ছিল না৷ এই গ্রুপের বেঁচে থাকা বাচ্চাদের তিনজনের ফুসফুসে একই ধরনের সমস্যা থাকলেও, তাঁদের সবাই বেঁচে আছে৷
এরই মধ্যে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে তার ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন এএমসির গবেষকরা৷
ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফিজেল প্রথম ভায়াগ্রা নিয়ে আসে বাজারে৷ সাধারণত, পুরুষদের যৌন উত্তেজক হিসেবে এর ব্যবহার হয়ে থাকে৷
এডিকে/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)