ইন্দোনেশিয়ায় ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
১৪ ডিসেম্বর ২০২১ইন্দোনেশিয়ার মাওমের শহর থেকে একশো কিলোমিটার উত্তরে ফ্লোরেস সমুদ্রে সাত দশমিক তিন মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানায় ‘বিপজ্জনক ঢেউ' সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করে দ্য প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার৷ তবে সেই সতর্কতা পরে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়৷
‘‘প্রাপ্ত সবধরনের তথ্যের ভিত্তিতে ভূমিকম্পের পর জারি করা সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করা হলো'' মঙ্গলবার জানিয়েছে সেন্টারটি৷
সেন্টারটি আরো জানিয়েছে যে ‘‘উপকূলের কিছু এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা কিছুটা ওঠানামা করতে পারে৷''
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে স্থানীয় সময় দুপুর বারোটা বিশ মিনিটে ফ্লোরেস সমুদ্রের ১৮ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার গভীরে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়৷
ভূমিকম্পে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা খুব ক্ষীণ বলেও মত দিয়েছে ইউএসজিএস৷
তবে এটি আরো জানিয়েছে যে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পগুলো থেকে সুনামি এবং ভূমিধসের মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যা ক্ষতির কারণ হতে পারে৷
নিকটবর্তী শহরগুলোতে কী হয়েছে?
‘‘প্রত্যেকে ঘর ছেড়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে,'' বলেন ফ্লোরেস দ্বীপের মাওমের শহরের বাসিন্দা আগুস্তিনোস ফ্লোরিয়ানোস৷ ভূমিকম্পের পর পাঁচ মাত্রার আরো কয়েকটি কম্পন অনুভূত হয়েছে৷
কম্পাস টিভিকে ইস্ট ফ্লোরেস শহরের প্রধান অ্যান্টন হায়ন বলেন, ‘‘আমরা পরীক্ষা করেছি, ক্ষয়ক্ষতির কোনো ঘটনা জানা যায়নি৷''
সুনামির আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দারা সমুদ্র উপকূল থেকে মোটর সাইকেলে এবং পায়ে হেঁটে দূরে চলে গেছে বলে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো জানিয়েছে৷
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদলি প্রাথমিকভাবে দুই ঘণ্টার জন্য সবাইকে সমুদ্র উপকূল থেকে দূরে থাকতে নির্দেশনা দেন৷
‘‘আমি ক্ষেতে ছিলাম৷ মানুষ ভয়ে দৌড়াদৌড়ি করছিল৷ আমি এখনো ভীত,'' বলেন ইস্ট ফ্লোরেস এর আরেক বাসিন্দা নূরাইনি৷
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি এক বড় আতঙ্ক৷ ২০০৪ সালে নয় দশমিক এক মাত্রার ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট সুনামিতে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে দুই লাখ বিশ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়৷
এআই/কেএম (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)