এআই দিয়ে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথন
৯ ডিসেম্বর ২০২৪ইতিমধ্যে এমন অভিজ্ঞতা নেওয়া ব্যক্তিরা কথা বলেছেন এই তথ্যচিত্রে৷
একজন মৃত ব্যক্তির মতো কাউকে সৃষ্টি করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো৷ এআই ও ডিপফেক প্রযুক্তির কারণে এগুলো প্রায় বাস্তবের মতো হয়ে উঠছে৷ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে ‘শোক প্রযুক্তি' ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷ কিন্তু একজন মৃত পার্টনারের কপির সঙ্গে কথা বলতে কেমন লাগে?
মার্কিন নাগরিক ক্রিস্টি অ্যাঞ্জেল এভাবে তার মৃত প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ তার আগে তার প্রেমিকার কিছু ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে বটকে প্রশিক্ষণ দিতে হয়েছে৷ কথা বলার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘‘অভিজ্ঞতাটা ভয়ংকর ছিল৷ কিছু জিনিস ছিল যা আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল, এবং এমন অনেককিছু বলা হয়েছিল যা আমি শুনতে চাইনি,'' জানান তিনি৷
‘ইটার্নাল ইউ' নামক তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন দুই জার্মান পরিচালক৷ তাদের একজন মরিৎস রিজেভিক বলেন, ‘‘মানুষ সবসময় মানুষ হওয়ার ভান করে এমন যন্ত্রের সঙ্গে কথা বলার প্রভাবকে অবমূল্যায়ন করে৷ একজন মৃত ব্যক্তির ডেটা সেট থেকে কিছু অংশ বাছাই করে এআই তা মানুষের সামনে তুলে ধরে৷ যেমন আপনি একসঙ্গে শুনেছেন এমন গান, কিংবা একসাথে দেখেছেন এমন সিনেমার কথা বলে৷''
এ ধরনের এআই-এর মনস্তাত্ত্বিক পরিণতি নিয়ে এখনও গবেষণা হয়নি৷ সে কারণে সমাজবিজ্ঞানী মাটিয়াস মাইৎসলার জানতে চান, এটি কীভাবে শোককে প্রভাবিত করে৷
মাইৎসলার বলেন, ‘‘আপনি জানেন না, অবতার পরবর্তীতে কী বলবে, কিংবা এটা কীভাবে অরিজিনাল ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করবে৷ এটা কি মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যা বলবে, হয়ত তাদের নিয়ে আপনার স্মৃতিগুলিও বিকৃত করবে? আর ম্যানিপুলেশন? কারণ, একজন-কেতো ঐ অবতারকে কনফিগার করতে হবে৷ এখানে কী স্বার্থ জড়িয়ে আছে? আর এটা যদি হয় একটা কোম্পানি যার অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য আছে, তাহলে শোকের ক্ষেত্রে এটা উপকারী নাও হতে পারে৷’’
ভবিষ্যতে হয়ত ডিজিটাল অবতার আমাদের বিদায় বলতে কিংবা স্মরণ করতে সহায়তা করতে পারে৷ তবে নিশ্চিতভাবেই এটি এআই এর মান এবং আপনি কীভাবে কাজে লাগাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে৷ তবে এ ধরনের অবতারের উপর খুব বেশি ভরসা করার বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা৷
ডরোথি গ্র্যুনার/জেডএইচ