ঢাকার বাইরে নাট্যচর্চায় সমস্যা ও সম্ভাবনা
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮বাংলাদেশে নাট্যাভিনয়ের ইতিহাস অতি প্রাচীন, সেই চর্যাপদের সময়কাল থেকে৷ আমাদের গ্রাম বাংলার লোকজ অভিনয়ধারা, যেমন যাত্রাপালা ইত্যাদি প্রাচীন কাল থেকে এখনো টিকে আছে৷ তবে আয়োজনের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে৷ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে আধুনিক থিয়েটার চর্চার যে নবযাত্রা শুরু হয়েছিল, ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেই ধারা অব্যাহত ছিল৷ ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং জেলে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা– এসব নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে একটি প্রগতিকামী উদারনৈতিক দেশকে পেছনে ফিরিয়ে নিয়ে আবার পাকিস্তান বানানোর পায়তারা চলছিল৷ শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতিটি শাখায় এই বৈরী সময়ের প্রভাব পড়ে৷ বাংলাদেশ বেতার হয়ে যায় রেডিও বাংলাদেশ৷ জয় বাংলা বদলে শ্লোগান হয়ে গেল বাংলাদেশ জিন্দাবাদ৷ সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ঘটে গেল জনসাধারণের মনোজগতে৷ বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, টেলিভিশন, বেতার সবজায়গায় ঐ বৈরী আদর্শের লোকজনকে বসিয়ে দেওয়া হলো৷ তারা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার বৈরী, ভাষা আন্দোলনের চেতনার বৈরী৷ বাঙালি সংস্কৃতির বৈরী৷ ফলে এর প্রভাব আমাদের মঞ্চ নাটকে এসে পড়ে৷ স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশের জেলা শহরগুলোতে মঞ্চনাটকের ক্ষেত্রে যে বিকাশ পরিলক্ষিত হয়েছিল তা আবার বাধাপ্রাপ্ত হলো৷
কিন্তু এই চেতনা ছিল ছাইচাপা আগুনের মতো, যে ফাগুন আবার লেলিহান শিখায় রূপ নিলো গোটা আশির দশক জুড়ে৷ ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনের পাশাপাশি দেশে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনও সংগঠিত হয়েছিল৷ তখন ঢাকাসহ জেলা শহরগুলোতে বহু ভালো ভালো মঞ্চ নাটক তৈরি হয়েছে৷ এমনকি শতাধিক মঞ্চায়নের রেকর্ড করেছে এমন অনেক নাটকও রয়েছে৷ কিন্তু স্বৈরাচার পতনের পর হঠাত্ই দেশে আবার মঞ্চনাটকের ক্ষেত্রে স্তিমিত ভাব লক্ষ্য করা গেল৷ হতে পারে যে, একটি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমভাবনা নিয়ে আত্মপ্রত্যয়ে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং সেই যুদ্ধ শেষে সবাই তখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন৷ তখন আবার দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়৷ এরপর থেকে বর্তমান সুদিনে আসতে দেশের থিয়েটার অঙ্গনকে অনেক সময় পার করতে হয়েছে৷ এতদিন ছিল শিল্পে-নাটকে সবখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ৷ স্বৈরাচার হটানোর পর এবার শিল্পের সুষমার দিকে ধীরে ধীরে সবার মনোযোগ পড়ল৷ তাই দেশের প্রতিটি জেলা শহরে এখন প্রশিক্ষিত মেধাবী যে সকল নাট্যকর্মীরা কাজ করছেন, তাঁদের এই সৃজনকর্ম সেই ধারাবাহিকতার ফসল৷
দেশের বড় বড় জেলা শহরগুলোতে শত বছর বা তার কম-বেশি ঐতিহ্যের অনেক নাট্যমঞ্চ বা থিয়েটার হল রয়েছে৷ এর পাশাপাশি বর্তমানে অনেক জায়গায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ বড় বড় অডিটোরিয়াম নির্মিত হয়েছে৷ এর ফলে নাটক মঞ্চায়নে পরিসর ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে, নাটকের সংখ্যাও বেড়েছে অনেক৷ দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি নিজস্ব ভবন ও অডিটোরিয়াম রয়েছে৷
এই সকল অত্যাধুনিক বড় অডিটোরিয়ামে আবার অন্যরকম অসুবিধাও আছে নাটক মঞ্চায়নের ক্ষেত্রে৷ থিয়েটারগুলো যেহেতু নিয়মিত নাটক মঞ্চায়ন করতে আগ্রহী, সেহেতু তারা একটি নতুন প্রযোজনার বহুসংখ্যক মঞ্চায়ন প্রত্যাশা করেন এবং থিয়েটারের নিয়মিত দর্শকরাও সেটা চান৷ কিন্তু এসব অডিটোরিয়ামে আসন সংখ্যা অনেক বেশি এবং আনুষঙ্গিক নানা কারণে এর বড় অঙ্কের ভাড়া নাটক মঞ্চায়নের ব্যয় অনেক বাড়িয়ে দেয়৷ ফলে নিয়মিত প্রদর্শনী করা অনেক দলের পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠে না৷ জেলা শহরগুলোতে জনসংখ্যার অনুপাতে থিয়েটারে দর্শকের সংখ্যাও কম৷ তাই শুধুমাত্র দর্শনীর বিনিময় একটি মঞ্চায়নের খরচ তুলে আনা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়৷ এই সব কারণে দু-তিনটে শো করেই একটি প্রযোজনা থমকে দাঁড়ায়৷ থমকে যায় থিয়েটারের কর্মকাণ্ড৷
দেশের জেলা, উপজেলা শহরগুলোতে তাই নাটক মঞ্চায়নের উপযোগী কম আসনের একাধিক মঞ্চ বা হল নির্মাণ করা প্রয়োজন৷ জেলা শহরগুলোর বড় অডিটোরিয়ামহগুলো থাকে জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে৷ সেখানে তাদের হল বরাদ্দের নীতিমালায় জুড়ে দেয়া হয়েছে কঠিন সব শর্ত৷ নাটক মঞ্চায়নের জন্য স্টেজ বিহার্সেলের কোনো সুযোগ পাওয়া যায় না৷ সেট নির্মাণ অলোকসজ্জা এগুলোতেও পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না৷ সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, নাটকের দিন হঠাত্ কোনো সরকারি অনুষ্ঠান বা মন্ত্রী পর্যায়ের কোনো অতিথির উপস্থিতিতে কোনো সভা সেমিনার ইত্যাদি পড়ে গেলে বা নাট্যদলকে হল বরাদ্দ দেয়ার পর এমন কোনো অনুষ্ঠান সরকারিভাবে আয়োজিত হলে, চব্বিশ ঘণ্টার নোটিশে হল বরাদ্দ বাতিল করা যেতে পারে৷ এই শর্তের কারণে বহু নাট্যসংগঠন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, বিপদে পড়েছে, দর্শকদের গালমন্দ শুনতে হয়েছে৷ এমনকি নাট্যোত্সব চলাকালীন হল বরাদ্দ বাতিল করার নজিরও বিরল নয়৷ ফলে একটি অনিশ্চয়তায় ভোগে থিয়েটারগুলো৷
এখানে আমলাতন্ত্রের সেই উপনিবেশিক যুগের মানসিকতা লক্ষ্য করা যায়৷ ছোট ছোট একাধিক মঞ্চ বা হল থাকলে জেলা শহরগুলোতে নাট্যদলগুলোকে এই বিপদে পড়তে হতো না৷ ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির হলগুলোর ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি নেই৷ ঢাকায় এখন দীর্ঘ বিরতির পর বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চেও নাটক মঞ্চায়ন হচ্ছে৷ এটি আধুনিক স্থাপত্যে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে৷ জেলা শহরে এরকম হল বা মঞ্চ নেই৷ জেলা শহরগুলোর আরেকটি প্রধান সমস্যা হচ্ছে থিয়েটারগুলোর বসার জায়গার অভাব৷ নিয়মিত নাটক মঞ্চায়নের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত চর্চা এবং মহড়া৷ তাই প্রত্যেকটি দলের জন্য প্রশস্ত মহড়া কক্ষের প্রয়োজন৷ অন্তত যে সমস্ত জেলা শহরে নিয়মিত নাট্যচর্চা আছে, থিয়েটারের সংখ্যা বেশি, সেখানে মহড়া কক্ষ, সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স ইত্যাদি নির্মাণ করে দেয়া প্রয়োজন সরকারী উদ্যোগে৷ কারণ, আর্থিক সংকট ও পৃষ্টপোষকের অভাব এখানো বিদ্যমান৷
বাংলাদেশের সবকিছু রাজধানীকেন্দ্রিক হওয়ার কারণে ঢাকার বাহিরে নাট্যকর্মীরা শিল্প-সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট কোনো ক্ষেত্রে কাজ করে বা চাকুরি করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন না৷ ঢাকায় অনেক নাট্যকর্মী বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন ইভেন্টফার্মে, প্রোডাকশন হাউসে, পত্র-পত্রিকায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন৷ ফলে তাঁরা নাটকটা চালিয়ে যেতে পারছেন৷ জেলা শহরগুলোতে নাট্যকর্ম পেশা হিসেবে নেওয়া সবার পক্ষে বাংলাদেশে এখনো সম্ভব নয়৷ ঢাকার বাইরের নাট্যকর্মীরা তাই অনেক যুদ্ধ করেই টিকে আছেন৷ তাঁদের পেশা অনেক ক্ষেত্রেই তার নাট্যচর্চায় টিকে থাকার পক্ষে সহায়ক নয়৷ এ কারণে ঢাকার বাইরের মেধাবী নাট্যকর্মীরা, যাঁরা দীর্ঘদিন এ লাইনে টিকে থাকতে চান, তাঁরা একসময় নিজ এলাকা ও সংগঠন ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান৷ এই কারণে জেলা শহরগুলোতে আত্মনিবেদিত ও মেধাবী নাট্যকর্মীদের অনেক ক্ষেত্রেই দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায় না৷ দলের পরিবেশনায় গুণগত মান বজায় রাখতে বা বৃদ্ধি করতে এর বিকল্প নেই৷
এক সময় তথাকথিত মফস্বল শহরগুলিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত নাট্যকর্মীর সংখ্যা কম ছিল৷ অনেক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেধাবী ও উচ্চশিক্ষিত তরুণ যুবকরা নাট্যচর্চায় যুক্ত থাকলেও সমাজে এর গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান দুটোতেই ঘাটতি ছিল৷ ধর্মীয় গোঁড়ামিতো ছিলই৷ ফলে মহিলা নাট্যকর্মী ছিলই না৷ দু'চারজন অভিনেত্রী প্রায় সব দলে পারিশ্রমিক নিয়ে অভিনয় করতেন৷ নাট্যকর্মীদের মধ্যে তখন অনেক ভ্রান্ত ধারণা বিরাজ করতো৷ স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য্য, পরিবেশ, জ্ঞানার্জন এসব বিষয়ে অনেকেই ছিলেন অনাগ্রহী৷ ফলে নাটকের মান ছিল গড়পড়তা৷ এখন যুগ পালটেছে৷ অনেক শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা-উপজেলায় সংস্কৃতি চর্চায়, বিশেষত নাট্যচর্চায় জড়িত আছেন৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানেও নাট্যচর্চা প্রসারিত হচ্ছে৷ সে কারণেই এখন ঢাকার বাইরে নাট্যচর্চা এখন আর আগের মতো নেই৷ এখন চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুষ্টিয়া, সিলেটসহ আরো বহু জেলায় ভালো ভালো কাজ হচ্ছে৷ সিলেটের কমলগঞ্জ উপজেলার নিভৃত পল্লীগ্রামে নাট্যকার ও নির্দেশক শুভাশিস সিনহা তাঁর নিজের বাড়িতে স্থাপন করেছেন নাট্যমণ্ডপ৷ গ্রামের বাড়িতে স্থাপিত এই মঞ্চে দর্শনীর বিনিময়ে অনেকে লোক নাটক দেখছেন৷ দর্শকরাও গ্রামীণ জনগণ৷ কী পরিবর্তন! ভাবা যায়!
দীর্ঘদিন চলা গ্রামথিয়েটার আন্দোলন এবং পথনাটক আন্দোলন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নাটক ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছে৷ পথনাটক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাদের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে প্রভাব ফেলেছে৷
এখনো জ্ঞানার্জনে অনাগ্রহী এবং আধুনিক নাট্যকলায় প্রশিক্ষণবিমুখ নাট্যকর্মীর দাপাদাপি জেলাশহরগুলোতে বিরল নয়৷ আবার ছোট জায়গায় পদ-পদবী ও আত্মপ্রচারে অনেকেই মূল কাজটি থেকে বিচ্যুত হন৷ আবার এমন নাট্যকর্মীও দেখা যায় যে, সে না পারে নাচতে, না পারে গাইতে, না পারে বাজাতে, না পারে লিখতে, তবুও সে নেতা, সে নির্দেশক, সে সংগঠক, সবকিছু৷ যতই একটি শিক্ষিত প্রজন্ম নাট্যচর্চায় এগিয়ে আসছে, ততই এদের চেহারা স্পষ্ট হচ্ছে৷ ফলে সুদিন আসতে শুরু করেছে৷ শুরুতেই বলেছিলাম তথ্য প্রযুক্তির যুগ৷ এই যুগে মানুষের হাতে সুকুমারবৃত্তি চর্চার সময় কোথায়? মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট, ইউটিউব, ফেসবুক, ঘরে টিভি চ্যানেল৷
কঠোর অনুশীলনে আজকাল যুবসমাজের আগ্রহ কমে যাচ্ছে৷ স্বল্প সময়ে, সহজে, কম পরিশ্রমে সবকিছু পেতে চায় সবাই৷ এর প্রভাব পড়েছে শিল্প-সংস্কৃতিতে৷ নাটক যেহেতু একটি যৌগিক শিল্প, এখানে একজন অভিনেতার বা কলাকুশলীর সার্বিক প্রস্তুতির প্রয়োজন, নিয়মিত অনুশীলন প্রয়োজন, পড়াশুনা করে বিচিত্র জ্ঞান আহরণ প্রয়োজন৷ এত সময় এখনকার ছেলে-মেয়েদের হাতে নেই৷ তাই যারা বিভিন্ন দলে ভিড়ছে, তাদের একটি বড় অংশ কিছুদিন পর এ পথ কঠিন দেখে ফিরে যাচ্ছে৷ কিন্তু যারা টিকছে, তারাই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণের কুশীলব৷
একসময় ভালো নাটক দেখতে ঢাকা যেতেই হতো৷ টিম ওয়ার্ক, লাইট, মিউজিক, অভিনয়, সেট ডিজাইন সবকিছু দেখে মফস্বলের নাট্যকর্মীরা একগাদা গল্প নিয়ে নিজ শহরের দলে ফিরতাম৷ সে কতোরকম গল্প, কতো অভিজ্ঞতা৷ কিন্তু এখন ঢাকার বাইরেও ভালো নাটক হয়৷ চোখ জুড়ানো অভিনয় হয়৷ একক অভিনয়ের পারদর্শিতা অনেকটা কমে গেছে যদিও, তবুও প্রয়োগের গুণে নাটক হয়ে উঠেছে অন্যরকম কিছু৷ লোককাহিনি, নৃত্যগীত, পৌরাণিক কাহিনি, কোরিওগ্রাফি, আবহ, আলো, সেট সব ক্ষেত্রে হচ্ছে সাহসী এক্সপেরিমেন্ট৷
শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের উদ্যোগে দেশে অনিয়মিত হলেও হচ্ছে প্রশিক্ষণ কর্মশালা৷ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নাট্যতত্ত্ব বিভাগ চালু হওয়াতে উচ্চশিক্ষিত নাট্যকার ও নির্দেশক তৈরি হচ্ছেন এবং তাঁরা ঢাকার বাইরেও গিয়ে কাজ করছেন৷ ধর্মান্ধতা, অপরাজনীতি এসব আমাদের পেছনে ঠেলে দিলেও থিয়েটার এগিয়ে চলেছে৷ সবকিছু মোকাবিলা করেই৷বাংলাদেশের জেলা-উপজেলা-থানা পর্যায়ে থিয়েটারচর্চা কম-বেশি বিস্তৃত হয়েছে৷ বেড়েছে তার গুণগত মান৷ তবে মাঠ পর্যায়ে আরো অনেক অনুল্লেখিত সমস্যা রয়েছে৷ রাতারাতি সব সমাধান করা সম্ভব না হলেও উপেক্ষা করা যাবে না দীর্ঘদিন৷
ঢাকার বাইরে থিয়েটার নিয়ে আপনার কোনো মন্তব্য থাকলে লিখতে পারেন নীচের ঘরে৷