1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্ল্যাট বুক করে কালো টাকা সাদা করতেন মন্ত্রী পার্থ

২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আদালতে দেয়া কেন্দ্রীয় সংস্থার পঞ্চম অতিরিক্ত চার্জশিটে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4oc1q
ইডি হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ছবি: Satyajit Shaw/DW

সম্প্রতি আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পঞ্চম অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই চার্জশিটে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কালো টাকা সাদা করতে পার্থ একাধিক ফ্ল্যাটের অগ্রিম বুকিং করতেন নগদে। কিন্তু বেশি দিন তা রাখতেন না। কিছুদিনের মধ্যেই সেই ফ্ল্যাটেরবুকিং বাতিল করে দিতেন। ফলে প্রোমোটারকে টাকা ফেরত দিতে হতো। এই ফেরত পাওয়া টাকা সাদা হয়ে ফিরতো। এভাবে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা তিনি সাদা করেছেন বলে অভিযোগ।

ইডি জানিয়েছে, এই বিষয়ে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বহু নির্মাণ সংস্থার সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য মিলিয়ে দেখা হয়েছে পার্থের সম্পত্তির সঙ্গে। তারপরেই কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসাররা এবিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে আসা বিপুল পরিমাণ টাকা এভাবেই সাদা করেছেন পার্থ।

ইডির দাবি, ফ্ল্যাট সংক্রান্ত লেনদেনের জন্য পার্থ দুটি সংস্থার মালিকানা গ্রহণ করেছিলেন। এই দুটি সংস্থা হলো ইমপ্রোলাইন কনস্ট্রাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড এবং এইচআরআই ওয়েলথ ক্রিয়েশন রিয়েলেটরস প্রাইভেট লিমিটেড।

বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থা ইডি-কে জানিয়েছে, কোথাও ছয় লাখ, কোথাও ১৫ লাখ টাকা করে দিয়ে রাখতেন পার্থ। তারপর আর টাকা দিতেন না। সময় সময় বুকিং বাতিল করে সেই টাকা ফেরত নিয়ে নিতেন। আর এর মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা হতো।

তবে একইসঙ্গে আদালতে ইডি জানিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফ্ল্যাট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে পার্থ নিজের নাম ব্যবহার করতেন না। রাজীব দে নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে একাজ করা হতো। রাজীব দে-কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এছাড়াও সুরঞ্জিতা জানা নামে এক নারীর কথা বলা হয়েছে। ফ্ল্যাট সংক্রান্ত কাজে তাকেও ব্যবহার করা হতো।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনো পর্যন্ত জামিন পাননি পার্থ। একাধিকবার জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা বাতিল করে দিয়েছে। তারই মধ্যে পঞ্চম চার্জশিটে পার্থের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ করলো ইডি।

এসজি/জিএইচ (ইডি চার্জশিট)