মৃত্যুদণ্ড বেড়েছে: অ্যামনেস্টি
১১ এপ্রিল ২০১৭অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে চীন বরাবরের মতোই বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে৷ আর সেখানে আবার বলা হয়েছে, যেহেতু চীন সরকারিভাবে মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করে না, তাই ২০১৬ সালে সে দেশে কতজনকে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না৷ তবে অ্যামনেস্টি মনে করে, আগের মতো এবারও যে চীনে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বিশ্বের বাকি সব দেশের চেয়ে অনেক বেশি ছিল সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই৷
মঙ্গলবার প্রকাশ করা অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে সারা বিশ্বে সরকারঅনুমোদিত মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৷ এর মধ্যে চীনের হিসেবটা নেই৷ মানবাধিকার সংস্থা ‘দুই হুয়া'-র নির্বাহী পরিচালক জন ক্যাম মনে করেন, গত বছর চীনে অন্তত দু'হাজার জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে৷
তবে অ্যামনেস্টি মনে করে, সব কিছুর পরও স্বীকার করতেই হবে যে, চীনেও মৃত্যুদণ্ড কিছুটা কমেছে৷
যুক্তরাষ্ট্রেও কমেছে৷ ২০১৬ সালে সে দেশে সরকারিভাবে মোট ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ গত ২৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বছরই এত কম মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নি৷
প্রতি বছরই নতুন কয়েকটি দেশ থেকে আসছে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড আর না রাখার ঘোষণা৷ ২০১৬ সালে এভাবে মৃত্যুদণ্ডবিরোধী অবস্থান নিয়েছে বেনিন এবং নাউরু৷
তবে উল্টো চিত্রও আছে৷ আগে কখনো মৃত্যুদণ্ড না দিলেও ২০১৬ সালে দিয়েছে এমন দেশের কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি৷ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর প্রথমবারের মতো মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বেলারুশ, বতসোয়ানা এবং ফিলিস্তিন৷
এসিবি/ডিজি (ম্যাক্সমিলিয়ানে কশিক, এপি)