ইন্দোনেশিয়ায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চলছে উদ্ধার কাজ
২৪ ডিসেম্বর ২০১৮আনাক ক্রাকাতাও দ্বীপে শনিবার রাতে আঘাত হানে ভয়াবহ এই সুনামি৷ জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, ৪২০ জনেরও বেশি মানুষ এতে প্রাণ হারিয়েছে, আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ, ৫৭ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ সংস্থাটির আশংকা নিহতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে৷ ধ্বংসস্তূপ সরালে সঠিক সংখ্যাটা জানা যাবে বলে ধারণা তাঁদের৷
সোমবার সকাল থেকে প্রিয়জনরা তাঁদের হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের খুঁজতে উপকূলে ভিড় করেন৷ তাঁদের কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে৷ উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনাবাহিনী, পুলিশ৷ প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে কাজ করছেন তাঁরা৷
কোনো ধরনের সতর্কতা সংকেত দেয়ার সুযোগ না দিয়েই ৬ থেকে ৯ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল সুমাত্রা ও জাভার সৈকতের ভবনগুলোতে৷ এ সময় অনেকেই ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যায়৷ কয়েকশ' ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে৷ তিন হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানডেগলাং এলাকা৷ সেখানে জীবিতদের সহায়তা করছে হাজির হয়েছের ত্রাণকর্মী ও চিকিৎসকরা৷
কর্তৃপক্ষ বলছে, আনাক ক্রাকাতাও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে হঠাৎ করেই এই সুনামির সৃষ্টি হয়েছে, কোনো ধরনের ভূমিকম্প হয়নি৷ তাই আগে থেকে কোনো সতর্কতা সংকেত দেয়া সম্ভব হয়নি৷ ফলে কারো কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছিল না৷
আনাক ক্রাকাতাও একটি ছোট দ্বীপ, যার আবির্ভাব ১৮৮৩ সালে অগ্ন্যুৎপাতের ৫০ বছর পর৷ ১৮৮৩ সালে ঐ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ৩৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল৷ তবে এ বছরের জুন থেকেই আগ্নেয়গিরি থেকে অল্প অল্প করে ছাই বের হতে দেখা গেছে৷
চলতি বছরের অক্টোবরেই সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূমিকম্প ও সুনামিতে প্রাণ হারান দুই হাজার মানুষ৷ এছাড়া আগস্টে লম্বক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হয় ৫০৫ জন৷
এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)