খড়্গপুর আইআইটিতে আবার ছাত্রের রহস্যমৃত্যু
১৮ অক্টোবর ২০২৩এক বছর আগে এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর প্রবল হইচই হয়েছিল খড়্গপুর আইআইটিতে৷ তখন নতুন পড়ুয়াদের উপর র্যাগিং করার বিষয়টি সামনে আসে৷ মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ ছিল, র্যাগিং করার ফলেই তার মৃত্যু হয়৷ হাইকোর্টের নির্দেশে দুইবার তার দেহের ময়নাতদন্ত হয়৷
বছর কাটতে না কাটতে আবার এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো৷ এলবিএস হলের ৫১৩ নম্বর রুম থেকে ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তিনি তেলেঙ্গানা থেকে পড়তে এসেছিলেন৷ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন৷
পুলিশ এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে৷ তারা অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ নথিবদ্ধ করেছে৷ এখন পুলিশ তদন্ত করে দেখছে, ছাত্রটি আত্মহত্যা করেছে, নাকি এর পিছনে কোনো রহস্য আছে৷ পুলিশ এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে৷ সেই রিপোর্ট আসার পর বিষয়টি কিছুটা স্পষ্ট হবে বলে তারা মনে করছে৷
গত জুন মাসেও খড়্গপুর আইআইটিতে কেরালা থেকে আসা এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়৷ সেই ছাত্র ইন্টার্নশিপ করছিলেন৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও র্যাগিং-এর কারণে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল৷ তা নিয়েও প্রচুর জলঘোলা হয়েছে৷ ঢালাও রাজনীতিও হয়েছে৷
রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে এভাবে ছাত্র মৃত্যু কেন হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ প্রবীণ সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘পুলিশকে অনুসন্ধান করে মৃত্যুর কারণ জানাতে হবে৷ এটা কি চাপের জন্য হচ্ছে নাকি বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ুয়ারা এরকম করছে, নাকি তাদের হত্যা করা হচ্ছে? কারণ যাই হোক না কেন, ঘটনাটা গুরুতর৷ বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না৷ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতেই হবে৷''
জয়ন্ত বলেছেন, ‘‘সম্প্রতি রাজস্থানের কোটায় কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে৷ সেখানে বলা হচ্ছে, পড়ুয়ারা চাপ নিতে পারছে না৷ কোটা হলো শিক্ষার হাব৷ সেখানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, ভর্তি পরীক্ষার জন্য পড়ুয়াদের তৈরি করা হয়৷ এই চাপের বিষয়টিও ভয়ংকর৷''
জিএইচ/জেডএইচ (টিভি৯, আনন্দবাজার)